Advertisement
E-Paper

‘বাংলার বাড়ি’ তৈরিতে উপভোক্তাদের খরচ কমাতে বিশেষ নির্দেশ নবান্নের, চলবে নজরদারি

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই অর্থ পেয়েছেন। বাড়ি তৈরির কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আধিকারিকদের পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫০
‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে কড়া নজর নবান্নের।

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে কড়া নজর নবান্নের। ফাইল ছবি।

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে যাঁরা সরকারি অর্থ পেয়েছেন, তাঁদের থেকে যেন কোনও ভাবেই বেশি দামে নির্মাণ সামগ্রী বিক্রি না করা হয়। এ বিষয়ে ব্লক স্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ পাঠাল নবান্ন। গত শুক্রবার ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই বৈঠকেই এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত হয় এবং প্রাপকদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা সুনিশ্চিত করা হয়।

পঞ্চায়েত দফতর জেনেছে, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অর্থ প্রাপকদের হাতে পৌঁছে গেলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে এবং উপভোক্তাদের সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করতে চায় রাজ্য। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই অর্থ পেয়েছেন। কিন্তু বাড়ি তৈরির কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আধিকারিকদের পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু সমীক্ষা করলেই হবে না, উপভোক্তাদের সমস্যার সমাধানে স্থানীয় স্তরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।

প্রায় ১২ হাজার ভূমিহীন উপভোক্তাকে জমির পাট্টা দেওয়ার কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রকল্পের আওতাভুক্ত সকল উপভোক্তা যাতে বাড়ি নির্মাণ শুরু করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। মুখ্যসচিব, জেলাশাসকদের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাড়ি তৈরির প্রকল্পের কারণে নির্মাণ সামগ্রীর চাহিদা বেড়েছে। এই সুযোগে চড়া দামে নির্মাণ সামগ্রী বিক্রি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই নির্মাণ সামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সাধারণ মানুষের জন্য তা সুলভ করার বিষয়েও জেলাশাসকদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

রাজ্য সরকার এই বিষয়ে যে কোনও ধরনের দুর্নীতি ঠেকাতে ‘ফিল্ড ভেরিফিকেশন’ অ্যাপ চালু করেছে, যার মাধ্যমে প্রকল্পের অগ্রগতি আরও ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। আধিকারিকদের এই অ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রকল্প পরিদর্শনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে সরকারি পরিষেবা ঠিকঠাক চলছে কি না, তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে বাংলার বাড়ি প্রকল্প-সহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুখ্যসচিব সেই নির্দেশগুলো পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের অধীনে উপভোক্তাদের ‘ইউডিন’ যাচাই দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি প্রকল্পের সঠিক উপভোক্তা চিহ্নিতকরণ এবং তাদের অর্থ প্রদান প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর করবে।

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প রাজ্যের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সরকারের লক্ষ্য, প্রত্যেক উপভোক্তা যাতে তাঁদের প্রাপ্য সুবিধা পান এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারেন। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষণ এবং স্থানীয় স্তরে উদ্যোগ বাড়িয়ে প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে চায় নবান্ন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন মানুষের মাথার উপরে ছাদ সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি রাজ্যের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।

Banglar Bari Project panchyat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy