আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মানুষের চাহিদা, সমস্যা ও মৌলিক প্রয়োজনগুলিকে অগ্রাধিকার দিতে বিশেষ উদ্যোগী নবান্ন। বুধবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের দফতর থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়, যেখানে জানানো হয়েছে— রাজ্যকে ছয় ভাগে ভাগ করে মোট ২৩ জন শীর্ষ আধিকারিককে জেলাভিত্তিক দায়িত্বে নিয়োগ করা হয়েছে। মূলত উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির অগ্রগতি তদারকি ও অভিযোগ নিরসন ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করতেই এই পদক্ষেপ।
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, এই আধিকারিকেরা বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অধীনে চলা কাজগুলির পাশাপাশি পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পের বাস্তবায়ন কী অবস্থায় রয়েছে, তা খতিয়ে দেখবেন। একই সঙ্গে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ উদ্যোগের আওতায় চিহ্নিত সমস্যা ও কাজগুলিও তাঁরা সশরীরে পর্যালোচনা করবেন। বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ কী ভাবে এবং কত দ্রুত সমাধান হচ্ছে, তা-ও এঁদের নজরদারির আওতায় থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে— অভিযোগ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া যাতে আরও স্বচ্ছ ও দ্রুত হয়, উন্নয়নমূলক কাজ যাতে বিলম্ব ছাড়া সম্পন্ন হয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে কোথাও ফাঁক না থাকে, সেই লক্ষ্যেই এই বরিষ্ঠ আধিকারিকদের মাঠে নামানো হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত জেলাশাসক, পঞ্চায়েত ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজের হালহকিকত নবান্নে পাঠাবেন।
আরও পড়ুন:
নবান্নের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন— ভোটের আগে সাধারণ মানুষের দাবি-দাওয়া ও প্রয়োজনীয় কাজগুলি সম্পূর্ণ করার বিষয়ে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ তৎপরতা দেখাতে হবে। তাঁর বিশ্বাস, মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করলেই প্রশাসনের উপর আস্থা আরও বাড়বে। তাই মুখ্যসচিবকে বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ মেনেই জেলাভিত্তিক আধিকারিক নিয়োগের এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।
প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ মহল মনে করছে, ভোটের মুখে এই উদ্যোগে উন্নয়ন প্রকল্পে গতি আসবে, পাশাপাশি স্থানীয় স্তরে দীর্ঘ দিনের বহু বকেয়া সমস্যার সমাধানও দ্রুত হবে। নবান্নের এই সিদ্ধান্তকে তাই রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক—উভয় দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মানছেন অনেকে।