Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Nabanna

দশ দিনের মধ্যে পাহাড়ে জমির পাট্টা চা শ্রমিকদের

কিছুদিনের মধ্যে পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। তার আগে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ভোটের আশ্বাস পূরণ করছে বলে পাট্টার বিষয়টি নিয়ে প্রচারে নেমেছে।

 Headquater of West Bengal government, Nabanna

রাজ্য সরকারের প্রধান কার্যালয়। — ফাইল চিত্র।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:১০
Share: Save:

দার্জিলিং পাহাড়ের চা বাগানের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারীদের শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। সরকারি সূত্রের খবর, বুধবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন জিটিএ চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা। বিভিন্ন আলোচনার মধ্যে জমির পাট্টার বিষয়টিও ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মহাকরণের শীর্ষস্তর থেকে টেলিফোন করা হয় অনীতকে। তাঁকে জানানো হয়েছে, খুব দ্রুত বাগান ধরে ধরে সমীক্ষা শেষ করেই দশ দিনের মধ্যে পাট্টা বিতরণের ব্যবস্থা চালু করা হবে। অনীত পাহাড়ের ডিআই ফান্ডের জমি এবং সিঙ্কোনা চা বাগানের জমির অধিকারের প্রসঙ্গও সরকারকে জানিয়েছেন।

এ দিন দুপুর থেকে পাহাড়ে বিভিন্ন প্রান্তে প্রজাপাট্টা (পাহাড়ে পাট্টার নাম) দেওয়ার সরকারি ঘোষণার প্রচার করা হয়। অনীত বলেন, ‘‘চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য অত্যন্ত খুশির খবর। এতদিন তাঁরা প্রজাপাট্টার নানা দাবি করেছেন। এ বার তা পূরণ হতে চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে।’’

জিটিএ সূত্রের খবর, দার্জিলিং এবং কালিম্পং পাহাড়ে অধিকাংশ জমির অধিকার মালিকদের নেই। বেশিরভাগ জমিই চা বাগান, বন দফতর, ডিআই ফান্ড বা সরকারি ডেভেলপমেন্ট ল্যান্ড হিসাবে চিহ্নিত। প্রায় পাঁচ দশক থেকে দাবি উঠলেও তা কার্যকর হয়নি। হাতে গোনা ক্ষেত্রে পাট্টা বা জমির অধিকারের কাগজ পেয়েছেন। পাহাড়ের ৮৭টি বড় চা বাগান, সুবিশাল এলাকায় ছড়িয়ে থাকা সিঙ্কোনা বাগানের শ্রমিকেরা বেশি দাবি তুলেছেন। প্রতি ভোটের আগে জমির পাট্টার আশ্বাস রাজনৈতিক দলগুলি পাহাড়ে দিয়ে থাকে। গত মিরিক পুরসভা ভোটে জমির পাট্টার আশ্বাস দিয়েই কার্যত পাহাড়ে কোনও পুরসভায় প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল।

চলছে চা পাতা বাছাইয়ের কাজ।

চলছে চা পাতা বাছাইয়ের কাজ। ফাইল চিত্র।

কিছুদিনের মধ্যে পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। তার আগে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ভোটের আশ্বাস পূরণ করছে বলে পাট্টার বিষয়টি নিয়ে প্রচারে নেমেছে। তবে সমীক্ষার নামেই পাট্টা বিতরণ আটকে না থাকে, সেই কটাক্ষও করেছেন বিরোধীরা। প্রাক্তন জিটিএ প্রধান বিনয় তামাং বলেছেন, ‘‘সব রাজনৈতিক চমক বলেই মনে হচ্ছে। আগে চা শ্রমিকেরা পাট্টা পেলে তো ভাল। সেটা না পাওয়া অবধি রাজনীতি ছাড়া এসব কিছু না।’’ হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড বলেছেন, ‘‘জিটিএ মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ। চা শ্রমিকদের নিয়ে শুধু রাজনীতিই চলছে।’’

অনীত বলেছেন, ‘‘পাট্টা দেওয়া শুরু হোক। দ্রুত সবার মুখ বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিই, তা পালন করে দেখাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nabanna Mamata Banerjee Anit Thapa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE