E-Paper

গ্রেফতারের আগে কারণজানানোর নির্দেশ নবান্নের

প্রসঙ্গত, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস)-র ৪৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কারণ জানানো আবশ্যক।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৬:৩৮
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতারের আগে কী অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে তদন্তকারীর অফিসারকে। নবান্নের নির্দেশ, গ্রেফতারের আগে সব সময় লিখিত ভাবে জানাতে না-পারলেও অবশ্যই অভিযুক্ত যে ভাষা বোঝেন সেই ভাষায় মৌখিক ভাবে জানাতে হবে পুলিশকে। তবে ধৃতকে আদালতে তোলার অন্তত দু’ঘণ্টা আগে লিখিত ভাবে গ্রেফতারের কারণ জানাতেই হবে পুলিশকে। বাহিনীরই একাংশ বলছে, এই নির্দেশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে দেয়নি নবান্ন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই বার্তা দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস)-র ৪৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কারণ জানানো আবশ্যক। তবে পুলিশের একাংশ বলছে, বহু ক্ষেত্রেই চোখ রাঙিয়ে, নিয়মের তোয়াক্কা না-করেই গ্রেফতার করে পুলিশ। চলতি বছরের গোড়ায় বিএনএসএস মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। তবে সেই নির্দেশে কত দূর কাজ হয়েছে, তা নিয়ে সন্দিহান পুুলিশকর্তাদের একাংশ। কারণ, এই নিয়ম না-মানায় বহু ক্ষেত্রে অভিযুক্ত জামিন পেয়েছেন। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে ফের এই বার্তা দিতে হয়েছে।

সূত্রের খবর, গত মাসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায় উল্লেখ করে রাজ্য পুলিশ সব জেলা পুলিশ, কমিশনারেট, রেল পুলিশ, সিআইডি-সহ প্রত্যেক বিভাগে পাঠিয়েছে। বিভাগীয় আধিকারিকেরা তা অধস্তনদের জানাবেন। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে লিখিত ভাবে গ্রেফতারের কারণ ধৃত ব্যক্তিকে না-জানালে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করতে পারে। তাই তদন্তকারী অফিসারদের এই নির্দেশ অক্ষরে-অক্ষরে মেনে চলতে বলা হয়েছে।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, নবান্নের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে ধৃত ব্যক্তিকে তাঁর বোধগম্য ভাষায় মৌখিক বা লিখিত ভাবে গ্রেফতার করার কারণ জানাতে হবে। লিখিত ভাবে কারণ জানাতে না-পারলে মৌখিক জানাতে হবে। পরে লিখিত ভাবে কারণ জানাতে হবে। অন্তত দু’ঘণ্টা আগে পুলিশের ওই লিখিত বক্তব্য পেলে তবেই অভিযুক্তের আইনজীবী সওয়াল করতে পারবেন। পুলিশকর্তাদের একাংশ মেনে নিচ্ছে, বহু ক্ষেত্রে অভিযুক্ত তাঁর নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। উপরন্তু, পুলিশের রক্তচক্ষুরও ভয় থাকে। এ দিকে, গ্রেফতারের কারণ না-জানালে আইনজীবীও জোরালো সওয়াল করতে পারেন না। সেই ফাঁকে পুলিশের একাংশ অভিযুক্তকে হাজত বন্দি করে রাখতে পারেন। হাজত মুক্তির শর্তে কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Supreme Court of India Nabanna

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy