একশো নম্বরের পরীক্ষায় কেউ পেয়েছিল ছয়, কেউ বা নয়। টেস্ট পরীক্ষার এমন ফলে লজ্জিত না হয়ে, মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতে স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ-ভাঙচুর করেছিল ছাত্রীরা। নিরুপায় স্কুল কর্তৃপক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন সকলকে। ফল বেরোতে দেখা গেল, টেস্টে অকৃতকার্য ছাত্রীরা ফেল করেছে মাধ্যমিকেও। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান বালিকা বিদ্যালয়ে পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৪৪ শতাংশে।
সামশেরগঞ্জ ব্লকে শিক্ষার হার মুর্শিদাবাদ জেলার মধ্যে সবচেয়ে কম। ধুলিয়ানের এই স্কুলটি যে এলাকায়, সেখানেও অধিকাংশ পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। বিড়ি বাঁধাই মূল পেশা। বাড়ির বড়দের সঙ্গে ছোটরাও বিড়ি বাঁধে। তা সত্ত্বেও গত দশ বছরে এই স্কুলে পাশের হার ৭২-৮৬ শতাংশের মধ্যে। সেখানে এ বার ৪১৫ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ১৮৫। অর্থাৎ, ৫৬ শতাংশই ফেল।
এত খারাপ ফলের জন্য প্রধান শিক্ষিকা বাসন্তী সরকার পড়ুয়াদের অন্যায় দাবিকেই দায়ী করেন। তিনি জানান, এ বার টেস্ট পরীক্ষা দিয়েছিল ৩৮৮ জন ছাত্রী। তাদের মধ্যে ‘শোচনীয় ভাবে’ ফেল করে ১২৬ জন। এর মধ্যে এমনও ছিল, যারা সাতটির মধ্যে একটি বিষয়েও পাশ করেনি। অনেকে শূন্য পেয়েছে একাধিক বিষয়ে। বাসন্তীদেবী বলেন, “শিক্ষিকাদের সঙ্গে একমত হয়ে ওই ছাত্রীদের মাধ্যমিকে বসার অনুমতি দিইনি প্রথমে। কিন্তু পরদিনই অভিভাবকদের নিয়ে স্কুলে চড়াও হয় ওই ছাত্রীরা। গেটে তালা মেরে সন্ধে পর্যন্ত আমাদের আটকে বিক্ষোভ দেখায় তারা। রাতে পুলিশ এসে উদ্ধার করে।”