হাওড়ার শিবপুরে নির্মীয়মাণ আবাসনে সহকর্মীকে খুন করে তাঁর দেহ লুকিয়ে নিয়ে গিয়ে কবরস্থ করার চেষ্টায় ছিলেন তিন রাজমিস্ত্রি। তবে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে দেহ কবরস্থ করার আগেই হানা দিল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। তাঁদের শিবপুর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি এক জনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশের একটি সূত্রে খবর, মাসখানেক আগে নাসিমউদ্দিন শেখ নামে ৩৮ বছরের এক যুবক ছেলে আনিসুরকে নিয়ে হাওড়ার শিবপুরে একটি আবাসনে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান। আদতে তাঁরা সাগরদিঘির থানার বাসিন্দা। একই কাজে নাসিমউদ্দিনের গ্রামের আরও কয়েক জন রাজমিস্ত্রি গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ৭ ডিসেম্বর রাতে জলের বোতল থেকে জলপান করা নিয়ে নাসিমুদ্দিনের সঙ্গে আরও তিন রাজমিস্ত্রির গন্ডগোল হয়। তাঁরা প্রত্যেকেই পূর্বপরিচিত। কিন্তু সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে খুনোখুনিও হয়। নাসিমউদ্দিনের মাথায় টালির বাড়ি মারা হয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করানো হয়েছিল। কিন্তু পরে কাজের জায়গায় ফিরে জ্ঞান হারান ওই যুবক। পরে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন:
অভিযোগ, ওই নিয়ে কাউকে আর কিছু না জানিয়ে চুপি চুপি দেহ নিয়ে মুর্শিদাবাদে চলে আসেন অভিযুক্তেরা। পরিকল্পনা ছিল সকলের অজান্তে দেহ কবরস্থ করার। কিন্তু শিবপুর থানার মাধ্যমে খবর পেয়ে সাগরদিঘি থানার পুলিশ অভিযুক্তদের আটকায়। দেহ উদ্ধার করে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষ হলে রবিবার রাতে সাগরদিঘিতে কবরস্থ করা হয়েছে নাসিমউদ্দিনকে। সাগরদিঘি থানার এক আধিকারিক জানান, মৃত যুবকের পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নাসিমউদ্দিন খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন মনিরুল শেখ এবং ইসমাইল শেখ নামে দুই যুবক। সোমবার সকালে তাঁরা সাগরদিঘি ফিরেছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের আটক করে শিবপুর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আরও এক অভিযুক্ত পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে।