Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Diarrhea

ডায়েরিয়া আক্রান্ত ২৫, উদ্বেগ বাড়ছে গ্রামে

গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মী রুনি মাল বলছেন, “গ্রামে ডায়েরিয়া শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয়েছে বাড়ালা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে কিছু ওষুধ ও ওআরএসও মিলেছে। তবে তাতে বমি-দাস্ত সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।’’ 

জলছবি: রঘুনাথগঞ্জের ঝাড়ুয়া গ্রামে। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়

জলছবি: রঘুনাথগঞ্জের ঝাড়ুয়া গ্রামে। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৯ ০০:০৮
Share: Save:

গ্রামের পাঁচ-পাঁচটি নলকূপের সবগুলিই বিকল। অগত্যা এঁদো পুকুরের জলই ছিল গলা ভেজানোর উপায়। আর তা থেকেই গত তিন দিন ধরে ডায়েরিয়া ছড়িয়েছে রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের ঝাড়ুয়া গ্রামে। ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ ছাড়িয়েছে। সকলেই ভর্তি রয়েছেন স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মী রুনি মাল বলছেন, “গ্রামে ডায়েরিয়া শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয়েছে বাড়ালা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে কিছু ওষুধ ও ওআরএসও মিলেছে। তবে তাতে বমি-দাস্ত সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।’’

পঁচিশ জন আক্রান্তের পরেও গ্রামে স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা স্বাস্থ্য দফতরের কোনও প্রতিনিধি দল আসেনি। ১৪০টি পরিবারের গ্রামটি জামুয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের একেবারে শেষ প্রান্তে বীরভূমের কোলে। গ্রামে যাওয়ার রাস্তার অবস্থাও বেহাল। গ্রামবাসীরা বলছেন, ‘‘নজরই নেই প্রশাসনের।’’

ডায়েরিয়ায় প্রথম আক্রান্ত হন কৃষ্ণদেব মাল ও তাঁর মা সুমতি। কৃষ্ণ বলছেন, “সকলেরই এক লক্ষণ। দাস্ত-বমি। গ্রামে ৫টি নলকূপ, যার সবগুলিই খারাপ দীর্ঘ দিন। দু-একটি বাড়ির নলকূপ থেকে জল নিয়ে চলছিল। লোকসভা নির্বাচনের সময় একটি পাম্প বসানো হয় বরঝোড়ার একটি পুকুরে।’’ পানীয় জলের ভরসা ছিল সেটিই। কিন্তু কোনও ভাবে সেই পাইপ লিক করে তা থেকেই রোগের সূত্রপাত বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।

গ্রামের বাসিন্দা অনন্ত মালের অভিযোগ, নলকূপ খারাপের কথা বহু বার পঞ্চায়েতে জানানো হয়েছে। কাজ হয়নি। যে পুকুরে পাম্প বসানো হয়েছে তার অবস্থা ছিল আরও খারাপ। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে গ্রামের মানুষ নিজেরাই সেটা সাফ সুতরো করেন কিন্তু তাতে কি দুর্গন্ধ যায়? ওই জলেই বাসন মাজা, থেকে স্নান মায় কাপড় কাচা। সেখানেই পাম্প বসানোয় বিপত্তি।

গ্রামের অন্য পুকুরগুলিরও একই অবস্থা। প্রাথমিক স্কুলের ৭৩ জন ছাত্রছাত্রী। মিডডে’র রান্নাও হচ্ছে ওই পুকুরের জলেই, বাসন ধোওয়াও। প্রধানশিক্ষক ফুরকান শেখ বলছেন, “দু’বছর ধরে স্কুলের নলকূপ খারাপ। বলেছি বহু বার, কেউ গা-ই করল না।’’

গ্রামের পরিস্থিতির কথা শুনেছেন বিডিও সৈয়দ মাসাদুর রহমান। বলছেন, “নলকূপ সারিয়ে পানীয় জল দেওয়ার দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে।”কবে, কেউ জানেন না!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Diarrhea Health issues
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE