বিতর্ক এই পোস্টারকে ঘিরে। —নিজস্ব চিত্র।
সিন্ডিকেটে ‘না’। শিক্ষাঙ্গনে দাপাদাপি ‘কোনওমতেই না’।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় নমেতা-নেত্রীদের সতর্ক করেছিলেন মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। সেই নির্দেশ পরের কয়েক সপ্তাহ জুড়েই কখনও মঞ্চ থেকে, কখনও ‘সিন্ডিকেটবাজ’দের বৈঠকে ডেকে সমঝে দিয়েছিলেন নেত্রী। জানিয়েছিলেন, দলের গায়ে কালির ছিটে লাগে এমন কিছুই যেন না ঘটে।
সেই সঙ্গে দিদির মন পেতে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়’ দীর্ঘ হোর্ডিং, ফ্লেক্সের আড়ালে জনপ্রতিনিধিদেরও আত্মপ্রচারেও লাইসেন্সও ছেঁটে দিয়েছিলেন তিনি। কারণ, সিন্ডিকেটরাজ, তোলাবাজি, দাদাগিরি—দলের জনপ্রতিনিধিরা তাণ্ডবের আড়ালে ওই ফ্লেক্স-হোর্ডিংই ঢাল হিসাবে ব্যবকার করতেন। তাই দলের নিষেধাজ্ঞা ছিল (পড়ুন দিদির নির্দেশ) হোর্ডিং-ফ্লেক্স-ব্যানারে দলনেত্রীর ছবি ও নাম ছাড়া আর কোনও বড়-মেজ-সেজ নেতার ছবি দেওয়া যাবে না।
তবে তা কি মানা হচ্ছে? কলকাতা বা জেলার আনাচকানাচে এমনই অজস্র হোর্ডিং ও ফ্লেক্স প্রশ্নটা উস্কে দিচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছে মুর্শিদাবাদের কান্দিও।
মুর্শিদাবাদের জেলা তৃণমূলের সভাপতি মান্নান হোসেন ও তাঁর পুত্র যুবনেতা সৌমিক হোসেন নেত্রীর সঙ্গে নিজেদের ছবি ছাপিয়ে একুশে জুলাইয়ের সভার প্রচার করছেন। বড়ঞা ব্লকের ডাকবাংলা ও পাঁচথুপি বাজারে প্রমাণ মাপের হোর্ডিংয়ে নেত্রীর সঙ্গে মান্নান ও সৌমিকের ছবি শোভা পাচ্ছে। সেখানে শহিদ স্মরণে ধর্মতলায় যাওয়ার আবেদন করা হয়েছে। এমনকী ওই হোর্ডিংয়ের নীচে লেখা রয়েছে— ‘সৌজন্যে মুসার আলি।’
বড়ঞা-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূলের মুসার আলি বলেন, “ওই হোর্ডিংগুলি ৫ জুলাইয়ের আগে বানানো হয়েছিল। তখনও নেত্রীর সঙ্গে অন্য নেতার ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি।’’ সৌমিক হোসেন বলেন, “মুসা আলি বিনা অনুমতিতে হোডিংয়ে নেত্রীর সঙ্গে আমার ছবি ছাপিয়েছে। এটা মানা যায় না।’’ তবে জেলা তৃণমূলের সভাপতি মান্নান হোসেনের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy