সালিশি সন্ত্রাস চলছেই। আদালতকে ‘অগ্রাহ্য’ করে এ বার ১৫ সদস্যের একটি পরিবারকে ‘সামাজিক বয়কট’- এর নিদান দেওয়ার অভিযোগ উঠল নদিয়ার চাপড়ার পিঁপরাগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েক জন ‘মাতব্বরের’ বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে গ্রাম জুড়ে চলে ‘মোড়ল’দের মাইকে প্রচারও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পদ্মমালা এলাকায় জমি নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ চলছিল দীর্ঘ দিন ধরে। মামলাও চলেছিল। আদালত একটি পরিবারের পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু অপর পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রামে সালিশি সভা ডাকেন ‘মাতব্বরেরা’। ‘মোড়ল’দের ওই সভায় উপস্থিত হয়নি একটি পরিবার। তাতেই ক্ষুব্ধ হন ওই এলাকার ‘মাতব্বর’রা। নিদান দেওয়া হয় জরিমানা ও সামাজিক বয়কটের। নির্দেশ ‘বাস্তবায়িত’ করার ডাক দিয়ে গ্রাম জুড়ে চালানো হয় মাইকিং প্রচার। অভিযোগ, এই ‘নিদান’-এর নেপথ্যে রয়েছে শাসকদলের একাংশ। যদিও সামাজিক বয়কটের কথা অস্বীকার করেছেন বেশির ভাগ অভিযুক্ত।
‘বয়কট’ হওয়া ১৫ সদস্যের ওই পরিবারের অভিযোগ, ‘মাতব্বর’দের নির্দেশে গ্রামের কেউই তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। যার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিশুদের পড়াশোনা। গৃহশিক্ষক থেকে শুরু করে স্কুলভ্যানের চালক, এমনকি গ্রাম্য চিকিৎসকেরাও বয়কট করেছেন গোটা পরিবারকে। আরও অভিযোগ, মৌখিক ভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
অভিযোগ এক প্রকার স্বীকার করে নিয়ে এক অভিযুক্ত ‘মাতব্বর’ মমিন মোল্লা বলেন, ‘‘একটা সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে একটি পরিবার উপস্থিত না হওয়ায় গ্রামের মাতব্বরেরা অপমানিত বোধ করেছেন। যার জন্য ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মেলামেশা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’