Advertisement
০১ অক্টোবর ২০২৩

দক্ষিণ জয়ে এখনও ব্যর্থ পদ্ম বাহিনী

পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরনোর ইস্তক জেলার বেশ কিছু জায়গায় বোর্ডের ভাগ্য নির্ভর করছিল বিজেপি ও নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনের উপরে। সেই সব জায়গাতেই তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে বোর্ড গড়ার আশায় ছিল বিজেপি।

বিজেপির পতাকা। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির পতাকা। নিজস্ব চিত্র

সম্রাট চন্দ
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:২০
Share: Save:

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এবং পরে তৃণমূলের ঘরছাড়া নির্দলদের নিয়েই আশায় বুক বাঁধছিল বিজেপি। কিন্তু নদিয়ার দক্ষিণ অংশে এখনও তাদের প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। বরং বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলকেই সমর্থন করেছেন নির্দলেরা। দলে ফিরে অনেকে প্রধানও হয়েছেন।

পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরনোর ইস্তক জেলার বেশ কিছু জায়গায় বোর্ডের ভাগ্য নির্ভর করছিল বিজেপি ও নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনের উপরে। সেই সব জায়গাতেই তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে বোর্ড গড়ার আশায় ছিল বিজেপি। যেমন হরিপুর, বেলগড়িয়া ২, গয়েশপুর পঞ্চায়েত। কিন্তু সে আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন নির্দলেরা। বাগআঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দলেরা তৃণমূলে ফেরেননি। বোর্ড গঠনের সময়ে তাঁরা হাত ধরেছিলেন বিজেপির। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সেখানেও তৃণমূলের ক্ষমতায় আসা আটকায়নি।

আরবান্দি ২ পঞ্চায়েতে নির্দলেরা তৃণমূলে ফিরলেও প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচনে তৃণমূলের দুই শিবির আলাদা প্রার্থী দেয়। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ অংশের দিকে যায় বিজেপির ভোট। এতে তৃণমূলের ফাটল চওড়া হলেও বোর্ড আসেনি বিজেপির হাতে। বেশ কিছু জায়গায় আবার নির্দল সদস্যেরা তৃণমূলে ফিরে প্রধান হয়েছেন। তাঁদের সমর্থনেই শেষ পর্যন্ত বোর্ড গড়েছে তৃণমূল। হরিপুর পঞ্চায়েতে যেমন ২৬টি আসনের মধ্যে ১০টি পাওয়ার পরেও আট নির্দল এবং দুই কংগ্রেস সদস্যকে দলে টেনে বোর্ড গড়েছে তৃণমূল। আবার বেলগড়িয়া ২ পঞ্চায়েতে ১৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের ছিল তিন, বিজেপির ছয় এবং নির্দল ছয়। আসনসংখ্যা পিছিয়ে থেকেও নির্দল সদস্যদের দলে ফিরিয়ে বোর্ড গড়েছে তৃণমূল। দুই জায়গাতেই প্রধান হয়েছেন দলে ফেরা নির্দলেরা।

শান্তিপুরের গয়েশপুর পঞ্চায়েতে ১৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল সাতটি (একটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), বিজেপি ও নির্দল তিনটি করে, সিপিএম দু’টি আসনে জয়ী হয়। এখনও বোর্ড গঠন হয়নি। তবে নির্দলেরা দলে ফিরেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। বিজেপির দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকারের দাবি, “কয়েকটি পঞ্চায়েতে আমরা বোর্ড গড়ার মতো জায়গায় ছিলাম। কিন্তু আমাদের ভয়ে তৃণমূল এখন নির্দলদের ঘরে ফেরাতে বাধ্য হচ্ছে। তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।”

কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েতে টসে জিতে প্রধান হয়েছেন বিজেপির। উপপ্রধান তৃণমূলের। নদিয়া দক্ষিণে বিজেপির উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলতে এখনও এটুকুই। ভাগ্যের ভরসা!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE