শান্তিপুরে বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে রানাঘাটে প্রামাণিক মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ। ছবি: সুদেব দাস
শান্তিপুরে দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। তার আগে শুক্রবার দুপুরে এসডিপিও (রানাঘাট) অফিসের কাছে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। তবে ওই খুনে অন্যতম অভিযুক্ত আনন্দ সরকারকে রাত পর্যন্ত ধরতে পারেনি পুলিশ।
গত বুধবার সন্ধ্যায় শান্তিপুর থানার আড়বান্দি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির ১৭ নম্বর বুথের সহ-সভাপতি বাবলু সরকারের বাবা অধীর সরকার বাজারে গিয়ে গোকুল ও আনন্দ সরকার নামে দুই ভাইয়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তাদের কিল-চড়ে জখম হয়ে বছর পঁয়ষট্টির অধীর সেখানেই পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়। এর পরেই তাদের এক সক্রিয় কর্মীকে তৃণমূলের লোকজন খুন করেছে বলে দাবি করে আসরে নামে বিজেপি। বৃহস্পতিবার রানাঘাটে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মৃতদেহে মালা দেন।
শুক্রবার তারই রেশ টেনে এসডিপিও অফিসের কাছে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপি। রানাঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জগন্নাথ সরকার, রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস, চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক তথা নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়েরা সেখানে হাজির ছিলেন। এসডিপিও (রানাঘাট) প্রবীর মণ্ডল ও শান্তিপুর থানার ওসি সুব্রত মালাকারের ভূমিকা নিয়োগ প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের বদলির দাবিও জানানো হয়। আগামী লোকসভা নির্বাচনের পর ‘সমস্ত হিসাব মিলিয়ে নেবেন’ বলে হুমকিও দেন নেতারা।
এর পর বিকাল ৫টা নাগাদ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট অবরুদ্ধ হয়ে থাকে ওই সড়ক। সাংসদ জগন্নাথ দাবি করেন, "শান্তিপুর থানার ওসি এবং এসডিপিও (রানাঘাট)-এর বিরুদ্ধে স্মারকলিপি নেওয়ার জন্য রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপারকে রানাঘাটে আসার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। তাই আমরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি।"
এ প্রসঙ্গে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "সম্পূর্ণ পারিবারিক গন্ডগোলের একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে। সত্য উদঘাটন হলে ওরা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।" এসডিপিও (রানাঘাট) প্রবীর মণ্ডল বলেন, "সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এক জন গ্রেফতার হয়েছে। আর এক জনকে খোঁজা হচ্ছে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy