কয়েক দিন ধরে বাড়ির লোকজনকে প্রায় এড়িয়েই চলছিল মেয়েটি। মাঝে-মধ্যে খাওয়া-দাওয়াও করছিল না ঠিক মতো। অবসাদ আর ভয় পেয়ে বসেছিল অষ্টম শ্রেণিতে পড়া মেয়েটিকে।
শেষে বাড়ির লোকজন ‘আবিষ্কার’ করেন, নীল তিমির খপ্পরে পড়েছে সে। অর্থাৎ ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’ বা ওই জাতীয় কোনও মারণ গেমে সে আসক্ত। নিজের বাঁ হাতে সে কয়েকটি আঁচড় কেটেছে। বাবা-মা এলাকার কাউন্সিলরকে জানিয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুরপ্রধান মেয়েটির কাউন্সেলিং করার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সোমবার রাত পর্যম্ত পুলিশে খবর দেওয়া হয়নি। পরিবার সূত্রের খবর, রানাঘাট লালগোপাল বালিকা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া ছাত্রীটির বাবা হাওড়ায় বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। সকালে বেরোন, রাতে ফেরেন। মা রানাঘাট পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। ওই ছাত্রী ও তার দাদা অনেকটা সময় বাড়িতে একাই থাকে। মেয়েটির নিজের মোবাইল নেই, কিন্তু বাড়িতে একটি স্মার্টফোন থাকে। ইদানীং সেটি সে ঘাঁটাঘাঁটি করছিল প্রায়ই। তার জন্য বাড়িতে বকুনিও খেয়েছে।
শনিবার মেয়ের বাঁ হাতে আঁচড় নজরে আসে মায়ের। তাঁর কথায়, ‘‘ও এমনিতে খুব শান্ত মেয়ে। বেশির ভাগ সময় লেখাপড়া নিয়েই থাকে। কয়েক দিন ও ফোন নিয়ে স্কুলে গিয়েছিল। সম্ভবত ওখান থেকেই কিছু শিখে এসেছে।’’ যদিও ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রুমা ভদ্র সিকদার বলেন, ‘‘এমন কিছু আমরা জানি না। স্কুলে ফোন নিয়ে আসাই তো নিষেধ!’’ যিনি ওই ছাত্রীর কাউন্সেলিং করছেন, তিনিও স্পষ্ট করে বলতে পারেননি, কী কারণে সে হাতে আঁচড় কেটেছে।