মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
এমনিতেই বছরভর প্রয়োজনের তুলনায় রক্তের যোগান কম থাকে। তার উপরে ভোট, রমজান মাস কিংবা গরমের সময়ে রক্তের আরও আকাল দেখা দেয়। ফলে রক্তের দালালচক্রও বেড়ে যায়। যার জেরে টাকার বিনিময়ে রক্তের কারবার চলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক চত্বরে। গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে থেকে রক্তের দালালির অভিযোগে এক জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন রোগীর পরিজনেরা। তাতেই এই আশঙ্কা আরও বেড়েছে। রক্ত নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রক্তের দালালচক্র বন্ধ করতে উদ্যোগী হওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, ইউনিট পিছু রক্ত আড়াই থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে রক্তের সঙ্কট মেটাতে গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৬০ জন মেডিক্যাল পড়ুয়া রক্ত দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ বলেন, ‘‘আমাদের কাছেও মাঝে মধ্যে রক্তের দালালির অভিযোগ আসে। আমরাও নজরদারি চালাই। সেই সঙ্গে পুলিশ যাতে ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে নজরদারি চালায় সেই অনুরোধ পুলিশের আধিকারিকদের কাছে রেখেছি।’’ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। সেখানকার পুলিশের মাধ্যমে সেখানে নজরদারি চালানো হয়। নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।
মেডিক্যালের এক আধিকারিক জানান, কোনও পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামো না থাকলে রোগীদের বিষয়টা জানিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, ‘‘তবে রক্তের অভাব রয়েছে। তাই সকলেই রক্তদানে এগিয়ে আসুন। সেই সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে কারও কাছ থেকে রক্ত নিতে যাবেন না। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত না থাকলে রক্তদাতা এনে রক্ত নিন।’’
মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসা পরিষেবা বেড়েছে, আগের তুলনায় রক্তের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। গত বছর দেখা গিয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার ইউনিট রক্ত লেগেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy