Advertisement
১৯ মে ২০২৪

ক্লাব ছিনিয়ে নেওয়ার নালিশ

সরকারি অনুদানে তৈরি হয়েছে ক্লাব। বিজয় মিছিল করে সেই ক্লাব দখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে নদিয়ার ধুবুলিয়ার খাজুরির ঘটনা। অভিযোগ, মঙ্গলবার মিছিল করে তৃণমূলের লোকজন খাজুরি মডার্ণ ক্লাব দখল করে।

কালি দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে ক্লাবের নাম।— নিজস্ব চিত্র

কালি দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে ক্লাবের নাম।— নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ধুবুলিয়া শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৬ ০১:০১
Share: Save:

সরকারি অনুদানে তৈরি হয়েছে ক্লাব। বিজয় মিছিল করে সেই ক্লাব দখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে নদিয়ার ধুবুলিয়ার খাজুরির ঘটনা। অভিযোগ, মঙ্গলবার মিছিল করে তৃণমূলের লোকজন খাজুরি মডার্ণ ক্লাব দখল করে। আলকাতরা লাগিয়ে ক্লাবের নাম মুছে দেয় শাসকদলের লোকজন। ক্লাবে দলীয় পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। মাইকে ঘোষণা করা হয়, এখানে মডার্ণ ক্লাব বলে কিছু ছিল না। এটা তৃণমূলের কার্যালয়। ক্লাবের মূল ফটকে ‘তৃণমূলের কার্যালয়’ লিখে দেওয়া হয়েছে। ছিনিয়ে‌ নেওয়া হয়েছে ক্লাবের অ্যাম্বুল্যান্সের চাবিও।

২০০১ ওই ক্লাবটি তৈরি হয়। ২০০৮ সালে ক্লাবটি রেজিস্ট্রেশন পায়। ২০১২ সালে রাজ্য সরকার ক্লাবটিকে ২ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়। পরে আরও কয়েক দফায় ৪ লক্ষ টাকা পায় ওই ক্লাব। সরকারি অনুদানে গড়ে ওঠে একতলা ওই ক্লাবঘর। ক্লাবের কর্মকর্তাদের সিংহভাগ এলাকার পরিচিত সিপিএম কর্মী। অভিযোগ, সেই কারণেই তৃণমূলের লোকজন জোর করে ক্লাবের দখল নিয়েছে। ক্লাবের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, এক সদস্যের অনুমতিতে তাঁর জমিতে ঘর তৈরি করা হয়েছিল। এখন ওই সদস্য বিষয়টি অস্বীকার করছে। ক্লাব না থাকলে সরকার কী ভাবে ৬ লক্ষ টাকা দিল? তাছাড়াও ক্লাব না থাকলে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল কী ভাবে এই ক্লাবকে অ্যাম্বুল্যান্স দান করলেন? কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, “ক্লাবকে সরকার ৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। কর্তারা সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যে ঘরটিকে ক্লাব বলা হচ্ছে, আদতে সেটি আমাদের এক কর্মীর ঘর।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC club
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE