Advertisement
E-Paper

মতুয়াদের সভা ডেকে বিবাদে চাপে বিজেপি 

হস্পতিবার ধানতলা থানার কুশাবেড়িয়া এলাকায় উদ্বাস্তু, শরণার্থী, তফসিলি জাতি-জনজাতি ও মতুয়াদের নিয়ে সম্মেলন এবং ধর্মসভার ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে ভিড় তেমন জমল না। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৪১
সভায়। নিজস্ব চিত্র

সভায়। নিজস্ব চিত্র

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে কোমর বেঁধে মাঠে নামতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু গোষ্ঠীবাজির পচা শামুকে পা কাটছে।

বৃহস্পতিবার ধানতলা থানার কুশাবেড়িয়া এলাকায় উদ্বাস্তু, শরণার্থী, তফসিলি জাতি-জনজাতি ও মতুয়াদের নিয়ে সম্মেলন এবং ধর্মসভার ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে ভিড় তেমন জমল না।

লোকসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া ভোট নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলই। জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে বিতর্কের সময়ে মতুয়াদের দু’টি অংশ দুই দিকে ঢলেও গিয়েছিল। বিজেপি মতুয়া ধর্মসভায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে আনার পরে পাল্টা সভা করে শক্তি প্রদর্শন করতে হয়েছিল তৃণমূলকে।

এ দিন দুপুরে রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশবেড়িয়ায় রাস্তার ধারে বড় মাঠের এক পাশে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপির ক্ষমতাসীন অংশের অনেকেই এই সভার সঙ্গে ছিলেন না। সভার দায়িত্বে ছিলেন দলের রানাঘাট ২ ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি অশোক সরকার। উপদলীয় রাজনীতিতে তিনি বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকারের বিরোধী গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত। সভার শুরু থেকেই তিনি বারবার ফাঁকা মাঠের দিকে তাকাচ্ছিলেন আর সহকর্মীদের বলছিলেন, ‘‘আশা করা যায় কিছুক্ষণের মধ্যে মাঠ ভর্তি হয়ে যাবে।’’ বেলা গড়াতে ভিড় কিছুটা বাড়ায় তিনি কিছুটা ধাতস্থ হন।

অশোক বলেন, “আমরা চাইছি মতুয়া ভোট আমাদের দিকে আনতে। ইতিমধ্যে অনেকে চলে এসেছেন। বাকিদেরও টানার চেষ্টা করা হচ্ছে।” অথচ সভাপতি জগন্নাথ সরকার বলছেন, “আমাদের দলের ব্যানারে এই সভা করা হচ্ছে না। তাই আমার বলার কিছু থাকতে পারে না।” তবে কি গোষ্ঠী কোন্দলের ছবিটাই সামনে চলে আসছে না? দুই নেতার কেউই তা স্বীকার করতে চাননি।

স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সমীর পোদ্দারের কটাক্ষ, “বিজেপির একটি গোষ্ঠী ক্ষমতা দেখানোর জন্য এই সভা করেছিল। কিছু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে সভায় নিয়েও আসা হয়েছে। ধর্মীয় সভা শুনে অনেকে হাজির হয়েছিলেন।’’ তৃণমূলেরও দাবি, মতুয়া ভোট তাদের সঙ্গেই রয়েছে। সমীর বলেন, ‘‘মতুয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেক পরিকল্পনা নিয়েছেন। তাই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন। তৃণমূল সাংসদ তথা মতুয়া নেত্রী মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে আছেন।”

Conflict BJP Matua Mahasangha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy