Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বেকসুর খালাস শিলাদিত্য

টিএমসি নেতা আসাদুল সেখ খুনের মামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। বৃহস্পতিবার, সেই মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদার। ছাড়া পেয়েছেন অন্য পাঁচ অভিযুক্তও।

রায়ের পরে শিলাদিত্য হালদার। বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র

রায়ের পরে শিলাদিত্য হালদার। বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:০৩
Share: Save:

টিএমসি নেতা আসাদুল সেখ খুনের মামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। বৃহস্পতিবার, সেই মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদার। ছাড়া পেয়েছেন অন্য পাঁচ অভিযুক্তও।

বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালত) শারদ কুমার ছেত্রী এই মামলার সব আসামীদের বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছেন বলে সরকারি আইনজীবী জানান। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ১১ মে, জেলা তৃণমূল ছাত্রপরিষদ নেতা আসাদুল সেখ তাঁর অনুগামী বাবলু শেখের মোটারবাইকের পিছনে বসে ফিরছিলেন, সেই সময় ভাকূড়ির কাছে দুষ্কৃতীরা তাঁকে বোমা মেরে এবং পরে গুলি করে খুন করে।

তদন্তে নেমে পুলিশ কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদার, প্রাক্তন পুর কাউন্সিলর হিরু হালদার, সন্তু সিনহা, মোহনলাল রসিদ, রতন হাজরা, শ্যামল হাজরা ও বান্টি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এদের মধ্যে মোহনলাল রসিদ পলাতক থাকায় বাকি ছ’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বান্টি বিশ্বাসের নাম চার্জশিটে বাদ দেয় পুলিশ। মামলা চলাকালীন চার অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পান। বৃহস্পতিবার বিচারক সকলকে খুনের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন। তবে অভিযুক্ত রতন হাজরাকে আদালতে প্রথমে হাজির না করায় বিচারক তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন। এই মামলায় তিনি মুক্তি পেলেও অন্য একটি মামলায় অভিযুক্ত থাকায় তাঁকে ফের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।

আসামীপক্ষের আইনজীবী পীযুষ ঘোষ জানান, এই মামলার মোট ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে সাত জন বিরূপ হন। খুনের প্রত্যক্ষদর্শী-সহ নিহতের আত্মীয়রা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, আসামীরা কেউই খুনের ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘‘বিচারকের রায়ে প্রমাণ হল আমার মক্কেলদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশে মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল।’’ সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায় এই মামলার রায় সম্পর্কে জানান, মামলার রায়ের কপি এখনও হাতে আসেনি, মামলার রায় দেখে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে।

কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকেই বলে আসছিলাম, শিলাদিত্য-সহ সকলকে মিথ্যা খুনের মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল, তা আজ প্রমাণিত হল।’’

শিলাদিত্য বলেন, ‘‘পুলিশ ও তৃণমূলের সাজানো মামলায় দু’টো বছর জেলে কাটাতে হল। কী আর বলব!’’ জেলা তৃণমূল মুখপাত্র অশোক দাস তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘আইন আইনের পথেই চলেছে, আমাদের কিছু বলার ছিল না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Leader Congress Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE