Advertisement
E-Paper

হাতে আস্থা, হাত-ছাড়া একটি পুরসভাও

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তাঁর ‘খাসতালুক’ মুর্শিদাবাদ জেলা দখলে রাখলেও অটুট রাখতে পারলেন কই! ২০১০ সালের পুরভোটে জেলার ৬টি পুরসভার মধ্যে কংগ্রেস ৩টিতে বোর্ড গড়েছিল। এ বার সেই তিনটির মধ্যে কান্দি ও মুর্শিদাবাদ পুরসভা দু’টি কংগ্রেস দখলে রাখতে পারলেও বেলডাঙা হাতছাড়া হয়েছে। গত বারে দখলে থাকা বেলডাঙা পুরসভায় এ বার দলগত বিচারে কংগ্রেস সবার থেকে বেশি আসন পেলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

অনল আবেদিন

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৫৪

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তাঁর ‘খাসতালুক’ মুর্শিদাবাদ জেলা দখলে রাখলেও অটুট রাখতে পারলেন কই!

২০১০ সালের পুরভোটে জেলার ৬টি পুরসভার মধ্যে কংগ্রেস ৩টিতে বোর্ড গড়েছিল। এ বার সেই তিনটির মধ্যে কান্দি ও মুর্শিদাবাদ পুরসভা দু’টি কংগ্রেস দখলে রাখতে পারলেও বেলডাঙা হাতছাড়া হয়েছে। গত বারে দখলে থাকা বেলডাঙা পুরসভায় এ বার দলগত বিচারে কংগ্রেস সবার থেকে বেশি আসন পেলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

৬টি পুরসভার সামগ্রিক বিচারেও কংগ্রেসের আসন সামান্য হলেও কমেছে। ২০১০ সালে জেলার ৬টি পুরসভার মোট আসন ছিল ১০৩টি। এলাকা পুনর্বিন্যাসের পরে আসন বেড়ে হয় ১০৭। ১০৩টির মধ্যে গত বার কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৯টি আসন। এ বার ১০৭টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ৪৭টি আসন। তবুও জেলা কংগ্রেস পুরভোটের ফলাফলে বেশ খুশি। কারণ, অধীর চৌধুরীর জেলায় এ বারও তৃণমূল নেত্রীর দল ফুল ফোটাতে পারেনি।

গত শনিবার ভোটের দিন তৃণমূল জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন বলেছিলেন, ‘‘৬টির মধ্যে ৪টি পুরসভায় বোর্ড গড়বে তৃণমূল। বাকি দু’টি, অর্থাৎ জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ ও বেলডাঙায় দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।’’ বাস্তবে কিন্তু তৃণমূলের কপালে জুটেছে ১০৭টি আসনের মধ্যে সাকুল্যে ১০টি আসন! হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের দখলে থাকা ধুলিয়ান পুরসভাটিও। সে প্রসঙ্গ টেনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘এক দিকে তৃণমূল ও পুলিশের যৌথ সন্ত্রাস। অন্য দিকে সারদার অঢেল টাকা বিলি আর নানা রকমের প্রলোভন। তার উপরে রয়েছে প্রার্থীদেরকে মিথ্যা আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় জড়িয়ে দেওয়া। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জেলার মানুষ তৃণমূল নেতাদের দিবাস্বপ্ন মিথ্যে প্রমাণ করেছে। বরাবরের মতো তাঁরা কংগ্রেসেই আস্থা রেখেছেন।’’

৬টি পুরসভার মধ্যে ২টিতে কংগ্রেস, ২টিতে বামফ্রন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, ত্রিশঙ্কু হয়ে থাকা বাকি দু’টি পুরসভা— ধুলিয়ান ও বেলডাঙাতে তারাই বোর্ড গড়বে। ১৪টি আসনের বেলডাঙায় কংগ্রেস পেয়েছে ৭টি আসন। বিজেপি দখল করেছে ৩টি। সিপিএম এবং আরএসপি পেয়েছে ২টি করে আসন। বিরোধীদের একজন কাউন্সিলরের সমর্থন মিললেই সেখানে বোর্ড গড়তে পারবে কংগ্রেস। সেই সম্ভবনায় ভর করে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, ‘‘এ জেলায় তৃণমূল কখনও পায়ের তলায় মাটি পায়নি। এটা কংগ্রেসের ঘাঁটি। তার ফলে এটা অনুব্রত-মনিরুলের জেলা হয়নি।’’

ধুলিয়ান নিয়েও কংগ্রেসের একই প্রত্যাশা। ওই পুরসভায় কংগ্রেস পেয়েছে ৮টি আসন। একক দল হিসাবে কয়েক কদম এগিয়ে থাকলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে আরও ৩ কাউন্সিলর দরকার। পুরসভায় দ্বিতীয় বৃহত্তম দল তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা ৬। দলের পক্ষে পুরসভার ভোট পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী মৌসুমী বেগম। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলকে আটকাতে অন্যেরা কংগ্রেসের বোর্ড গড়তে সহায়তা করবে।’’

কংগ্রেস ২টি জায়গায় ৪টি বোর্ড গড়বে কি না তা অবশ্য সময় বলবে। তবে এই পুরভোটে বেশ কিছু আসনে কংগ্রেসকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে ঠেলে দিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি উঠে এসেছে প্রথম, অথবা দ্বিতীয় স্থানে। ফলে আসন্ন বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে কংগ্রেসের কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়ে এ জেলায় তৃণমূল এবং বিজেপি-র ১০ জন কাউন্সিলরও নির্বাচিত হয়েছেন।

magic figure Beldanga Congress Anal Abedin municipal election election Adhir chowdhury murshidabad
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy