এক কংগ্রেস সমর্থককে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলাশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের চোঁয়াডাঙা ও বইচিতলা গ্রামের মাঝে এক রাস্তায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাদেক আলি (৪৭)। মৃতের দেহে ৭টি গুলি ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অভিযোগ, সাদেকের সঙ্গে আনেশ শেখ নামে এক তৃণমূল সমর্থক কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে সাদেক খুন হন। তারপর থেকে আনেশের কোনও খোঁজ মেলেনি। দু’জনেরই বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে ২ কিলোমিটার দূরে গুরুদাসপুর গ্রামে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুখেন্দুবিকাশ হীরা বলেন, ‘‘একই মোটরবাইকে সাদেক আলি ও আনেশ শেখ সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন। সাদেক খুন হন। তারপর থেকে আনেশ নিখোঁজ। ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
এ দিকে, দলীয় সমর্থক খুনের খবর পেয়ে এ দিন রাতেই ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী ও মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদার। মনোজবাবু বলেন, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় নিজেদের প্রভাব বাড়াতে দলের সক্রিয় কর্মী সাদেক আলিকে পরিকল্পনা করে খুন করেছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এফআইআরেও মৃত সাদেকের ভাই মন্টু শেখ খুনের কারণ হিসাবে রাজনৈতিক রেষারেষির কথা বলেছেন। মন্টু বলেন, ‘‘ওই এলাকায় দাদা ছিলেন তৃণমূলের পথের কাঁটা। সেই কাঁটা সরাতে আনেশকে ছক কষে দাদার সঙ্গে ভিড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিকল্পনা মতো আনেশ দাদাকে নিয়ে গিয়ে খুন করে। খুনে আনেশ-সহ তৃণমূলের ১২-১৪ জন যুক্ত।’’
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন বলেন, ‘‘ওই এলাকায় তৃণমূলের কোনও সংগঠন নেই। ওই এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে কংগ্রেসের দুষ্কৃতীদের দু’টি যুযুধান গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের নিজেদের বিবাদের জেরে খুনের ঘটনা ঘটেছে।’’
সাদেক আলি ও তাঁর খুনের ঘটনায় অভিুক্তরা সবাই জমি কেনাবেচা ও ইটভাটায় মাটি যোগান দেওয়ার ব্যবসায় যুক্ত। তা নিয়ে রেষারেষিও ছিল। পুলিশের খাতায় সাদেকের বিরুদ্ধে খুন ও জখমের মোট ১৭টি মামলাও রয়েছে। তার মধ্যে ১০টিই খুনের মামলা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy