E-Paper

পুনর্বহালের দাবি, অবস্থান ম্যাকাউটে

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত বছর মার্চ মাসে স্থায়ী উপাচার্য সরে যাওয়ার পর থেকে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের কয়েক জনের পুনর্বহাল নিয়ে টালবাহনা শুরু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫২
ম্যাকাউটে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার হরিণঘাটায়।

ম্যাকাউটে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার হরিণঘাটায়। নিজস্ব চিত্র।

পুনর্বহাল-সহ একাধিক দাবিতে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ম্যাকাউট) চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশ অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে উপাচার্যের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। সন্ধ্যা ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা উপাচার্যের ঘরের সামনে বসেই রয়েছেন। উপাচার্যও তাঁর ঘরেই রয়েছেন। ক্যাম্পাসেই থাকছেন রেজিস্ট্রার ও ফিন্যান্স অফিসার।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত বছর মার্চ মাসে স্থায়ী উপাচার্য সরে যাওয়ার পর থেকে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের কয়েক জনের পুনর্বহাল নিয়ে টালবাহনা শুরু হয়। আন্দোলন করে সেই সমস্যা মেটে। তার পরেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, কোনও কোনও বিভাগ, কোর্স বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই সব কোর্সে ভর্তি পড়ুয়াদের অন্য কোর্স নিতে বলা হচ্ছে। ফলে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের কাজ থাকবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আগে উপাচার্য আশ্বস্ত করলেও পরবর্তীকালে বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ চেষ্টা করেও উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।

বিক্ষোভকারীরা জানান, তাঁদের সমস্যা নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরে আবেদন করবেন। তার জন্য বৃহস্পতিবার উপাচার্যের কাছে অনুমোদনের জন্য যান। উপাচার্য তাঁদের সঙ্গে কোনও রকম কথা বলেননি বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের তরফে শিক্ষক অরিজিৎ বাগ বলেন, “আমাদের নবীকরণ নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না, উপাচার্য আমাদের এইটুকু লিখিত দিন।”

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ম্যাকাউট প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তির পরিবর্তন হয়। পড়ুয়াদের আগ্রহ অনুযায়ী প্রোগ্রাম চালু করতে হয়, যাতে তাঁদের কর্মজীবনে কাজে লাগে। বিক্ষোভকারীরা হঠাৎ করে এসেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন। উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী বলেন, “আমাকে না জানিয়ে তাঁরা চলে এসেছেন এবং দাবি করছেন আমাকে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করার আশ্বাস দিতে হবে। আমি আশ্বস্ত করার কে? আগেও একাধিকবার তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Reinstatement haringhata

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy