করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্য জুড়ে কড়াবিধিনিষেধ আগেই লাগু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই বিধিনিষেধের দিন বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কড়াবিধিনিষেধ ও করোনা সংক্রমণের মাঝে অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা দৈনন্দিন কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে ৭০ ঊর্ধ্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে বহরমপুর পুরসভা। ইতিমধ্যে বহরমপুর পুরসভার প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এরকম প্রায় সাড়ে সাতশো বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রয়েছেন। তাঁদের ফোন নম্বর জোগাড় করে পুরসভা থেকে যেমন খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, তেমনই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য হেল্পলাইন চালু করেছে বহরমপুর পুরসভা। ওই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা সাহায্য চাইলে পুরসভা এগিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, যাঁদের প্রয়োজন আছে তাঁদের অক্সিজেন, অ্যাম্বুল্যান্স, ওষুধ এবং খাবার বিনা পয়সায় দেওয়া হচ্ছে বলে পুরসভার কর্তারা জানিয়েছেন। দিচ্ছে।
বহরমপুর পুরসভার প্রশাসক জয়ন্ত প্রামাণিক বলেন, ‘‘কেউ অভুক্ত অবস্থায় যেন না থাকেন তা দেখার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা নানাভাবে মানুষকে সাহায্য করছি। এছাড়া ৭০ ঊর্ধ্ব বয়স্ক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন চালু করেছি। কোনও বৃদ্ধৃ-বৃদ্ধা ফোন করে সাহায্য চাইলে আমরা সাহায্য করছি।’’ জয়ন্তের দাবি, ‘‘পুরসভার প্রাথমিক সমীক্ষায় ৭০ ঊর্ধ্ব সাড়ে সাতশোজন বৃদ্ধৃ-বৃদ্ধার খোঁজ মিলিছে বহরমপুর শহরে। তাঁদের অনেকেই নিঃসঙ্গ। পুরসভা থেকেও আমরা ফোন করে খোঁজ নিচ্ছি। এছাড়া চিকিৎসা থেকে শুরু করে যাবতীয় সাহায্য আমরা করছি।’’
বহরমপুর পুরসভার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের হেল্পলাইন নম্বর হল-০৩৪৮২-২৫০০১২/ ৯৪৭৪৭৬৭১৫৭/ ৯৪৭৫৮৩৫১৩৬/ ৯৪৩৪৩৬৪৪৭৬/ ৯৯৩৩৮৯৫৬৯৫। উপরের নম্বরগুলিতে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা ফোন করে যে কোনও রকম সাহায্যের বিষয়ে পুরসভার কাছে আবেদন জানাতে পারেন। প্রয়োজন হলে ওষুধ ও খাবার নিখচরায় দেওয়া হচ্ছে বলে পুরসভার কর্তারা জানান।
বহরমপুর পুরসভার কর্তারা জানান, করোনা পরিস্থিতি ও কড়াবিধিনিষেধের সময়ে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নিঃসঙ্গ বৃদ্ধা-বৃদ্ধারা। অনেকেরই সামর্থ থাকলেও এই পরিস্থিতিতে বাজার বেরনোসহ দৈনন্দিন কাজ ঠিকমতো করতে পারছেন না। কোথাও কোথাও বাড়িতে কাজের মাসি না যেতে পারেন। ফলে রান্না করার ক্ষেত্রেও সমস্যা দিতে পারে। তাই তাঁদের সহযোগিতায় হাত বাড়াতে এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যে অনেক বৃদ্ধ বৃদ্ধা কীভাবে করোনার প্রতিষেধক পাবেন সে বিষয়ে জানতে চেয়ে পুরসভার হেল্পলাইনে ফোন করেছেন। ফোনে তাঁদের জানানো হয়েছে, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পুরসভার পক্ষ থেকে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যাপ্ত প্রতিষেধক এলে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা তাঁদের প্রতিষেধক দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বেশ কয়েকজন খাবার চেয়ে ফোন করেছেন। পুরসভার দাবি, তাঁদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।