প্রার্থনা: বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
প্রিয়জন ও বন্ধুদের কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা বিনিময়, মোসাফা (করমর্দন) করে কুশল বিনিময় করেন, ইদের নমাজ শেষে এমনই রীতি রয়েছে। আর কোলাকুলি, মোসাফা ছাড়া ইদ বেদনাদায়ক। কিন্তু করোনার চোখ রাঙানির জেরে গত বছর থেকে ইদের দিনের সেই আনন্দ উধাও হয়ে গিয়েছে বললেই চলে। ইদের মুখে ফের করোনা চোখ রাঙানোয় মুর্শিদাবাদের ইমাম মুয়াজ্জিনরাও করোনা সুরক্ষাবিধি মেনেই ইদের নমাজ পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। অল্প লোকজন (৫০ জনের অধিক নয়) নিয়ে ইদের নমাজ পড়া, শারীরিক দূরত্ববিধি বজায়, মাস্ক পরা, নিয়মিত স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের পাশাপাশি এবারে কোলাকুলি, মোসাফা করতে নিষেধ করছেন ইমাম মুয়াজ্জিনরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, করোনা অতিমারি। ক্রমশ করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই করোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে করোনা সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে।
জেলা ইমাম নিজামুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘‘ইদের নমাজ শেষে কোলাকুলি করা, মোসাফা করা রীতি। কিন্তু করোনার কারণে সেই রীতি এবারে বন্ধ রাখার কথা বলা হচ্ছে। কারণ কোলাকুলি বা করমর্দন করলে সংক্রমণের ভয় থেকে যায়। জেলাবাসীর কাছে আমরা করোনা সুরক্ষাবিধি মেনে ইদ পালনের আবেদন জানিয়েছি।’’
ডোমকলের রবিউল ইসলাম কলকাতায় বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। প্রতি বছর ইদে গ্রামের বাড়ি ফেরেন। এবারেও বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে ইদের নমাজে যাওয়া হবে না বলে মন খারাপ রবিউলের। তিনি জানান, ‘‘বছর ভর ভিন জেলায় থাকতে হয়। ফলে গ্রামের লোকজনের সঙ্গে দেখা হয় না। কিন্তু ইদের নমাজে গিয়ে গ্রামের সকলের সঙ্গে মিলিত হই। কোলাকুলি, করমর্দনের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এবারে সে সব কিছুই করা যাবে না। ফলে মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক।’’ তাঁর আবেদন, ‘‘করোনা সুরক্ষাবিধি মেনে চলুন। নিশ্চয় আমরা এক সময় পুরনো ছন্দে ফিরব।’’
শুধু ইমাম মুয়াজ্জিনরাই নয়, জেলা পুলিশ প্রশাসন, রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড করোনা সুরক্ষাবিধি মেনে ইদের নমাজ পালনের অনুরোধ করেছেন।
যে কোনও প্রয়োজনে পুলিশের কন্ট্রোলরুমে ফোন করার কথা বলা হয়েছে। ফোন নম্বর হল- জেলা কন্ট্রোল রুম - ০৩৪৮২-২৫০৫১১ /৯০৮৩২৬৯২৫৫, সাইবার ক্র্যাইম থানা – ৭৭৯৭৭০৮৫০৪, "আলোর পথে" হেল্প লাইন – ৭৪৩০০০০০৩০। ১০০ নম্বর ডায়াল করেও জানানো যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy