প্রতীকী ছবি।
সংক্রমণ বাড়লেও এখনও চাকদহের অনেকেরই কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। বাজার খুললেই তাঁরা ভিড় করছেন। অনেকে আবার মাস্ক পরার প্রয়োজনও বোধ করছেন না বলে অভিযোগ।
শুধু চাকদহ শহরেই এখনও পর্যন্ত ২৪০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২। চাকদহ পুরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর সুপ্রকাশ বিশ্বাস বলেন, “শহরের এক ওষুধের দোকানে তিন জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। তাঁদের দু’জন শহরের এবং এক জন গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা হোম আইসোলেশনে রয়েছে। ভাল আছেন। ওই দোকান জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।” তবে মানুষ সংক্রমিত হলেও বাজারে ভিড় কমছে না।
চাকদহ রেল স্টেশনের সামনের দিকে আনাজের এই হাট বসে। চাকদহ, কল্যাণী এবং রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের একটা অংশ থেকে চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত আনাজ এই হাটে নিয়ে আসেন। প্রতিদিন কমবেশি হাজার চাষি এখানে জিনিসপত্র নিয়ে আসেন। প্রতিদিন রাত বারোটা থেকে পরদিন সকাল আটটা পর্যন্ত হাট বসে। এর পর বসে খুচরো বাজার।
নদিয়ায় করোনা
২১৮১
(মোট আক্রান্ত)
জেলায় চিকিৎসা ৮৬৯
চিকিৎসাধীন ৯৬২
সুস্থ ৭২০
মৃত ২৮
নতুন রোগী ২২
চাকদহ ব্লকে ১ জন, চাকদহ পুরসভা এলাকায় ২ জন, হাঁসখালি ব্লকে ৩ জন, হরিণঘাটা ব্লকে ২ জন, কালীগঞ্জ ব্লকে ১ জন, কল্যাণী পুরসভা এলাকায় ৩ জন, কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে ১ জন, কৃষ্ণনগর পুরসভা এলাকায় ১জন, কৃষ্ণনগর ১ ব্লকে ৩ জন, নাকাশিপাড়া ব্লকে ১ জন, রানাঘাট ১ ব্লকে ১ জন, রানাঘাট ২ ব্লকে ৩ জন
নজরে পুরসভা (মোট আক্রান্ত)
চাকদহ ২৪০
হরিণঘাটা ৫৯
কৃষ্ণনগর ৮৩
কল্যাণী ১৩৪
রানাঘাট ৯৪
নবদ্বীপ ২৭
শান্তিপুর ৩৩
গয়েশপুর ৯৩
শুক্রবার জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে
বাজারের মালিকদের তরফে রাখী সিংহ সাহা বলেন, “চাষিদের কথা ভেবে হাট খুলে রাখতে হচ্ছে। আনাজ এক দিন থেকে গেলেই পচে যায়। তবে সংক্রমণ এড়়াতে রাত বারোটার পরিবর্তে এখন দশটায় থেকে কৃষকদের হাটে আসতে বলা হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এতে ভিড় অনেক কম হচ্ছে। যাঁরা কলকাতা এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা বিভিন্ন এলাকা থেকে আনাজ কিনতে আসেন, তাঁদের রাত একটার মধ্যে আনাজ কিনে চলে যেতে বলা হয়েছে। হাটে বিক্রেতাদের বসার উঁচু করা হয়েছে। ক্রেতা এবং বিক্রেতার মাস্ক পড়া এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক হয়েছে।’’ শহরে মনীন্দ্র হাট ও বাজার রয়েছে। প্রতিদিন সেখানেও বহু মানুষ বাজার করতে যান।
চাকদহ সেন্ট্রাল ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবল দেবনাথ বলেন, ‘‘শহরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে বাজারের একটা ভূমিকা অবশ্যই রয়েছে। আমরা তাই দু’দিন বাজার বন্ধের ডাক দিয়েছিলাম। তবে এখন ব্যাবসায়ীদের পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নয়। তাই সরকার লকডাউন করলে আমরা সমর্থন জানাবো।” কল্যাণীর মহকুমাশাসক এবং চাকদহ পুরসভার প্রশাসক ধীমান বাড়়ুই বলেন, “ওই সব বাজারে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিক্রি হয়। এটা বন্ধ করা যাবে না। তবে সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা, জীবাণুনাশক স্প্রে করে এবং প্রত্যেকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’’
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy