দুশ্চিন্তায়: কেরলে আটকে পড়েছেন স্বামী। কেশাইপুরে উদ্বিগ্ন স্ত্রী, সন্তানেরা। নিজস্ব চিত্র
নেহারিতলার পথ ধরেই এখন বাঁচার রাস্তা খুঁজছেন লকডাউনের জন্য আটকে পড়া জেলার অনেক পরিযায়ী শ্রমিক। দিল্লিতে হিংসার সময় নেহারিতলার ১১ শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন একটি বাড়িতে। তাঁরা ফেসবুকে ভিডিয়ো দিয়ে সাহায্যের আবেদন করেন। এখন লকডাউনের সময় নানা রাজ্যে আটকে পড়া মুর্শিদাবাদের শ্রমিকরাও সেই ভাবে ফেসবুকে তাঁদের অবস্থার কথা তুলে ধরছেন। তার পরে সোশ্যাল মাধ্যমে সেই বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে। তা পৌঁছে গিয়েছে হরিহরপাড়ার বিডিও-র কাছে, স্থানীয় কয়েকটি থানার আইসি-র মোবাইলেও। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও সে খবর পেয়েছেন। খবর পৌঁচেছে নবান্নের কানেও। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর নেওয়া হচ্ছে।
এর মধ্যেই অন্তত ৩১ হাজার শ্রমিক ভিন্ রাজ্য থেকে জেলায় ফিরেছেন বলে প্রশাসনের কাছে খবর। তবে হরিহরপাড়া, নওদা, বহরমপুর, ডোমকল, জলঙ্গি সহ বিভিন্ন ব্লকের আরও কয়েক হাজার যুবক পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁদের একাংশ ঘরে ফিরেছেন। তবে অনেকেই আটকে পড়েছেন। লকডাউন জারি হতেই কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েন তাঁরা। ঘরে খাবারটুকুও নেই। হরিহরপাড়ার কেশাইপুর গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল শাহর বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, তিন মেয়ে আর বাবা-মা। প্রায় ছয় মাস আগে কেরলে গিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী জুলেখাবিবি বলেন, ‘‘স্বামী না খেয়ে রয়েছেন। আমাদের ঘরের টাকাও প্রায় শেষ। যা খাবার আছে তাতে হয়ত দু’চার দিন চলবে।’’
কেরলে আটকে পড়া শ্রমিক জাকির শাহ টেলিফোনে জানান, ‘‘চার দিন ঘরে বন্দি। দোকানপাটও বন্ধ। খাবার নেই। বাড়িতে টাকাও পাঠাতে পারছি না।’’ হরিহরপাড়ার বিডিও পূর্ণেন্দু স্যানাল বলেন, ‘‘সব কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকেও জানিয়েছি। তাঁরা যাতে অন্তত খাবারটুকু পান সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy