Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
COVID-19

প্রত্যাশার প্রতিষেধক হাতে আসছে আজই

আজ শনিবার জেলার ১০টি কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জনকে ভ্যাকসিন  দেওয়া হবে।

যাত্রা: রওনা দিল কোভিশিল্ড। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।

যাত্রা: রওনা দিল কোভিশিল্ড। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ ০২:৩০
Share: Save:

মহাক্ষণ অবশেষে উপস্থিত। আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ। শুক্রবারই বেশির ভাগ কেন্দ্রে প্রতিষেধক পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হলেও যাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সেই প্রাপকদের তালিকা শুক্রবার রাত পর্যন্ত চূড়ান্ত করতে পারেনি জেলার স্বাস্থ্য দফতর। কারণ, এই সংক্রান্ত যে সফ্টওয়্যার ঠিক করা হয়েছিল তা ঠিকঠাক কাজ করছে না বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।

আজ শনিবার জেলার ১০টি কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। নোডাল অফিসারদের কাছে ভ্যাকসিন দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির নামের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সপ্তাহে চার দিন করে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্যভবন থেকে নির্দেশ এসেছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার রুটিন টিকাকরণের দিন বাদ দিয়ে সোম, মঙ্গল, শুক্র, শনিবার টিকা দেওয়া হবে। বেলা সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হবে টিকা দেওয়া। শুক্রবার রাতের মধ্যে জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি কৃষ্ণনগর থেকে কল্যাণী, রানাঘাট, তেহট্ট, চাকদহ, শান্তিপুর, করিমপুর, বিষ্ণুপুর, নবদ্বীপ ও চাপড়ায় ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে।

প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকছে। ওয়েব ক্যামেরাও থাকছে। স্বাস্থ্য দফতর সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে রাজ্যের কর্তারা এই ওয়েব ক্যামেরার মাধ্যমে সরাসরি নজরদারি চালাতে পারবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ছ’জন করে কর্মী থাকবেন। এক জন সিভিক ভল্যান্টিয়ার ছাড়াও নার্স ও এএনএম থাকবেন। সঙ্গে থাকবেন এক জন করে চিকিৎসক। সিভিকের টেবিলে থাকবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও প্রাপকের তালিকা। তিনি নাম মিলিয়ে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেবেন। পাশেই ‘ওয়েটিং রুম’-এ অপেক্ষা করতে হবে। ডাক পেলে তবেই ভ্যাকসিনেশনের ঘরে ঢুকতে হবে। সেখানে ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকবেন এক জন নার্স। তাঁর কাছে দেখাতে হবে পরিচয়পত্র। ল্যাপটপে ডেটাবেসে তিনিও আবার নাম মিলিয়ে দেখবেন। তার পর পাশের টেবিলের নার্স দেবেন ভ্যাকসিন বা টিকা।

ভ্যাকসিন নিয়ে যেতে হবে পাশেই ‘অবজারভেশন’ রুমে। সেখানে থাকবেন আরও দু’জন নার্স। আধ ঘন্টা সেই ঘরে পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। কোনও রকম শারীরিক সমস্যা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দিলে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অন্যথায় পাশের ‘এইএফআই ব্যবস্থাপনা ঘর’-এ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে শয্যায় শুইয়ে খবর দেওয়া হবে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসককে। বাইরে অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে। প্রয়োজনে তাতে চাপিয়ে নিটকবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। জেলা ও মহকুমা হাসপাতালে তৈরি থাকবেন জেনারেল মেডিসিনের চিকিৎসকেরা। থাকবেন অ্যানাস্থেটিস্টেরা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আধ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কোনও সমস্যা না হলে স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনও সমস্যা হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus COVID-19 Vaccine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE