জেলা সদর কৃষ্ণনগরে বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদ করা হল। একই দিনে শান্তিপুরে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে পথে নামল সিপিএম। উচ্ছেদ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবিতে এ দিন বামেরা প্রতিবাদ সভাও করেন।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে জেলা সদর কৃষ্ণনগরে দখলদারদের দোকান সরাতে বলা হয়। যাঁদের দোকান থেকে গিয়েছিল, সেগুলি আগেই ভেঙে দেওয়া হয়। শনিবারও অভিযানে নামে প্রশাসন। এ দিন কোতোয়ালি থানার সামনে সরকারি জমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়।
শান্তিপুর শহরেও পুর কর্তৃপক্ষ আগে পথে নেমেছিলেন। দখলদারদের দোকান বা ঝুপড়ি সরিয়ে নিতে বলা হয়। সেখানেও উচ্ছেদের বিরুদ্ধে পথে নামে সিপিএম। শনিবার সিপিএম কর্মী-নেতারা ডাকঘর মোড়ে প্রতিবাদ সভা করেন। সেখানে ছিলেন শান্তিপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সঞ্জিত ঘোষ, জেলা কমিটির সদস্য সৌমেন মাহাতো, সিপিএম নেতা শান্তনু চক্রবর্তী। তাঁদের দাবি, উচ্ছেদ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। সিপিএমের সঞ্জিত ঘোষ বলেন, ‘‘শান্তিপুরের পুর কর্তৃপক্ষ হুমকি দিয়ে, পেশিশক্তির বলে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করতে চাইছেন। অথচ, তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। আমরা চাই হকারদের পুনর্বাসন দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হোক। বৈধ ভাবে ব্যবসা করার জন্য প্রক্রিয়া চালু করা হোক।’’
পুরপ্রধান সুব্রত ঘোষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘কোথাও হুমকি দেওয়া হয়নি। আলোচনা এবং অনুরোধে কাজ করা হচ্ছে। ওঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা রয়েছে। শূন্য হয়ে গিয়ে সিপিএম এখন বিভ্রান্ত করার রাজনীতি করছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)