ভাদ্রের প্রথম দিনেই জোড়া উৎসবে মাতল নবদ্বীপ। এক উৎসব ভক্তের সঙ্গে ভগবানের যোগের পথটি খুঁজতে চায়। অপর উৎসবের মূল সুরটি বাঁধা থাকে জীবনের সঙ্গে জীবনের যোগ করাতে। বৃহস্পতিবার একই সঙ্গে ছিল ঝুলনপূর্ণিমা এবং রাখিবন্ধন।
শ্রাবণের শুক্লা একাদশী থেকে শুরু হয়ে পাঁচ দিনের ঝুলন শেষ হল বৃহস্পতিবারে। অন্যদিকে এ দিন রাখি নিয়ে মেতে উঠল নবদ্বীপ। আর পাঁচটা উৎসবের মতো এ দিন মানুষের ঢল নামল নবদ্বীপ ও মায়াপুরে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নবদ্বীপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বুঁদ হয়ে থাকল রাখি উৎসবে। অন্যদিকে, রাধাকৃষ্ণের ঝুলনের শেষ দিনে নবদ্বীপের মঠ মন্দিরে বিশেষ অনুষ্ঠানকে ঘিরে উপচে পড়ল ভক্তদের ভিড়। জমজমাট নবদ্বীপে ক’দিন ধরেই মঠমন্দিরের চারপাশে ভেসে বেড়াচ্ছে ঝুলন কীর্তনের সুর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তার সঙ্গে মিশে যায় রবীন্দ্রনাথের ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’। ক’দিন ধরেই ঝুলনের পাশাপাশি শহরের আর একটি অংশ প্রস্তুত হচ্ছিল রাখির জন্য। স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে কমবেশি শতাধিক রাখির দোকানে নানা ধরনের রাখির বিকিকিনি চলেছে গত রবিবার থেকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাওয়া রাখির ডিজাইন ঘিরে উঠতি প্রজন্মের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। স্টোন দিয়ে তৈরি ব্রেসলেট রাখি কয়েক বছর ধরেই বাজারে হিট।