রাজ্যে বিভিন্ন জায়গাতেই লেভেল ক্রসিংয়ে যানজট হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিপত্তিও ঘটছে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের কাছে একটি রেলগেটের এক দিক খোলা পেয়ে ঢুকে পড়ে দু’টি গাড়ি। অন্য দিকে গেট ততক্ষণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাইনের পাশেই আটকে পড়ে গাড়ি দু’টি। সেই সময় ওই লাইন দিয়ে যাচ্ছিল কলকাতামুখী হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস। ট্রেনের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি গাড়ি। বেলডাঙার পাঁচরাহা রেলগেট নিয়েও ভোগান্তির শেষ নেই।
বেলডাঙার ভাবতা ও পাঁচরাহায় দু’টি প্রধান রেলগেট নিয়ে স্থানীয়দের ভোগান্তি কম হয় না। বেলডাঙা ভাবতা রেলগেট ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে হওয়ায় সেই রাস্তা দিয়ে সর্বদা গাড়ি চলাচল করে। রেলগেট বন্ধ থাকলে যানজট বড় আকার ধারণ করে। পদে পদে ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে চলাফেরা করতে হয়। তারপর পাঁচরাহা রেলগেট বেলডাঙা পুরসভা এলাকা-সহ অন্য এলাকার রাস্তা সেখানে মিশেছে। বেলডাঙার বড়, ছোট পাঁচটি রাস্তা সেই রেলগেটকে অতিক্রম করেছে। পাশে দু’টি বড় বাজার, স্কুল, কলেজ, সরকারি দফতর থাকায় যানজটের সমস্যা প্রতিদিন লেগেই থাকে।
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এই রেলগেটের লাইন দিয়ে প্রতিদিন ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। ব্যস্ত সময়ে বন্ধ লেভেল ক্রসিংয়ে পাশ দিয়ে অনেকে পার হওয়া চেষ্টা করেন। তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে। অতীতে বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেওছে ওই জায়গায়। সবচেয়ে সমস্যা হয়, যখন আপ ও ডাউন ট্রেন প্রায় এক সঙ্গে ওই জায়গা দিয়ে যায়। তখন দীর্ঘক্ষণ রেলগেট বন্ধ থাকে। অনেক পথচারী, গাড়ি রাস্তায় আটকে পড়ে। ওই পাঁচরাহা রেলগেট দিয়ে নওদা, হরিহরপাড়া, বহরমপুরগামী বাস চলাচল করে। বড় ট্রাক, ম্যাটাডর, স্কুল বাসও সর্বদা চলছে। রেলগেটে সেগুলি আটকে থাকে দীর্ঘ সময়।
২০১৪ সাল থেকে ওই রাস্তায় আন্ডারপাস তৈরির চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন রেলগেটের সমস্যা মেটানো হয়েছে। বেলডাঙার রেলগেটের সমস্যাও মেটানো হবে। কয়েক মাস আগেও রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বেলডাঙার এই রেলগেট পরিদর্শন করেন। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে আগামী দিনে কাজ হবে। বেলডাঙার বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখ জানান, "রেলগেট-সমস্যা মেটাতে তৎপর আমরা। কথা বলে কাজ করা হবে।"
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)