E-Paper

শো-কজ়ের জবাব দেননি, সরলেন ডিন

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষকদের পদোন্নতি-সহ একাধিক দাবি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষক সমিতির সদস্যেরা।

সুস্মিত হালদার

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:৩১
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ডিনের ভূমিকায় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। উপাচার্যের চেয়ারকে ডিন হেয় করেছেন। এমনকি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শো-কজ়ের উত্তরও দেননি। এই সমস্ত কারণ দেখিয়ে ডিন পার্থসারথী দে-কে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। সোমবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নির্দেশিকা জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষকদের পদোন্নতি-সহ একাধিক দাবি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষক সমিতির সদস্যেরা। কয়েক মাস আগে পার্থসারথী দে-কে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ডিন পদে নিয়োগ করা হয়। একই সঙ্গে তিনি ‘ইন্টারন্যাল কোয়ালিটি অ্যাশিওরেন্স সেল’-এরও অধিকর্তা। ডিন পদে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে কলা ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষকদের পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে শিক্ষকদের একাংশের বিবাদ হয়। তাঁদের অভিযোগ, তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে শি‌ক্ষকদের পদোন্নতি আটকে রাখছেন।

এই অভিযোগ নিয়ে অন্দোলনে নেমেছিল শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের এক নেতার দাবি, “বিজ্ঞান বিভাগে দ্রুত সমস্ত পদোন্নতি হয়ে যাচ্ছে। কিন্ত কলা ও বাণিজ্য বিভাগে তা আটকে থাকছে। ডিনের হাতে অনেকখানি ক্ষমতা থাকায় তিনি ইচ্ছা করে পদোন্নতি আটকে রাখছিলেন। আমরা উপাচার্যকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান এবং পদোন্নতির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনুরোধ করেছিলাম।” ওই নেতা আরও দাবি করেন, “এই বিষয়ে ডিনের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য উপাচার্য দু’দিন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু ডিন আসেননি। এটা উপাচার্যের পক্ষে অত্যন্ত অসম্মানের। এই কারণে পদোন্নতি সংক্রান্ত সিলেকশন কমিটির বৈঠক নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়।”

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছেন। উপাচার্যের চেয়ারকেও অসম্মান করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পর রেজিস্ট্রার পার্থসারথী দে-কে কারণ দর্শানোর চিঠি দেন। আজ অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর বেলা ১২টার মধ্যে তাঁকে উত্তর দিতে বলা হয়েছিল। তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর না দেওয়ায় তাঁকে অপসারিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায় বলেন, “এই বিষয়ে যা বলার তা উপাচার্য বলবেন। তাঁর নির্দেশেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।” তবে উপাচার্য অমলেন্দু ভুঁইয়া ফোন ধরেননি। পার্থসারথী দে-কেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kalyani

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy