ফের ডেঙ্গির ভয় জেলায়। প্রতীকী চিত্র।
শীত শেষে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। অন্যদিকে মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। যার জেরে বাড়তে শুরু করেছে মশার দাপটও। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই মশা দাপট দেখাতে শুরু করেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মার্চ পর্যন্ত ১৫৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু মার্চেই আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ জন।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ বলেন, ‘‘এখনই সে ভাবে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী নেই। তবে মশাবাহিত ডেঙ্গি সহ অন্য রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে মশারি খাটিয়ে ঘুমাতে হবে। জ্বর হলে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে।’’
বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙে গত বছর ডেঙ্গি দাপট দেখিয়েছিল মুর্শিদাবাদে। সে বার জেলাজুড়ে ৮ হাজার ৩১০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী তাতে মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। সে বার শুধু লালগোলায় ১৭৭১ জন, ভগবানগোলা ১ ব্লকে ৬০৪ জন, জলঙ্গি ব্লকে ৪৪৬ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিল। পাশাপাশি বহরমপুর পুরসভায় ডেঙ্গির যথেষ্ট দাপট ছিল।
বহরমপুর পুরসভার সাফাই বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল জয়ন্ত প্রামাণিক বলেন, ‘‘মশার বাসস্থল ভেঙে দিতে গত ৬ মার্চ থেকে শহরে কাজ শুরু হয়েছে। বদ্ধ নিকাশিনালা যেমন পরিষ্কার করা হচ্ছে, তেমনই কোথাও জঞ্জাল জমে থাকলে পরিষ্কার করা হচ্ছে।’’
লালগোলার বিডিও সুব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘গত বছর ডেঙ্গিতে আমাদের ব্লকের পরিস্থিতি খারাপ হয়েছিল। আমরা বছরভর লাগাতার মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে মশানাসক স্প্রে, লোকজনে সচেতন করা, পরিকাঠামো বাড়ানোর মতো কাজ করছি। লালগোলার নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে এবং বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দেড় কোটি টাকা করে খরচ করে পাকা নিকাশিনালা তৈরি করা হচ্ছে। ওই প্রকল্পের দরপত্রের প্রক্রিয়া চলছে। বাইরে থেকে কেউ জ্বর নিয়ে এলাকায় ফিরলে আমরা খোঁজ খবর রাখছি। এখন মশার বাসস্থান ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।’’
গ্রামীণ এলাকায় মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে কেমন কাজ হচ্ছে তা মুর্শিদাবাদে দেখতে এসেছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব সুক্তিসীতা ভট্টাচার্য। গত বছরে সব থেকে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত ব্লক লালগোলা ব্লক তিনি ঘুরে দেখেছেন বলে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy