Advertisement
E-Paper

নাড়া পোড়াবেন না, বার্তা চাষিদের

বেলা দশটা। কিন্তু চারপাশ দেখে কে বলবে সেই কথা! এক হাত দূরের জিনিসও দেখতে বেগ পেতে হয়। দীপাবলির সময় এ হালই হয়েছিল দিল্লির।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:০০
সেই লিফলেট। — নিজস্ব চিত্র

সেই লিফলেট। — নিজস্ব চিত্র

বেলা দশটা। কিন্তু চারপাশ দেখে কে বলবে সেই কথা! এক হাত দূরের জিনিসও দেখতে বেগ পেতে হয়।

দীপাবলির সময় এ হালই হয়েছিল দিল্লির। অতিরিক্ত বাজি পোড়ার পাশাপাশি রাজধানীর আশপাশের রাজ্যগুলিতে খেতের আগাছা ও শুকনো খড় পোড়ানোকে দায়ী করেছিল প্রশাসন। এ বার এ রাজ্যেও বায়ুদূষণ রুখতে কৃষকদের সচেতন করছে কৃষিদফতর। লিফলেট বিলি করে এর লাভ-ক্ষতি, কী করা উচিত... জানানো হচ্ছে সবই।

কৃষিদফতরের দাবি, আমন ধানের মরশুমে কম্বাই হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটার পর সেই জমিতে নাড়া পোড়ানো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। একই ভাবে মেশিনের সাহায্যে গম কেটেও মাঠে খড় পোড়ানো হচ্ছে। নদিয়ার উপকৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) বুদ্ধদেব ধর বলেন, “বেশ ক’বছর ধরেই কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র দিয়ে ধান ও গম কাটার পর জমিতে পড়ে থাকা নাড়ায় আগুন লাগিয়ে দিচ্ছেন চাষিরা। এতে দূষণ ছড়াচ্ছে, মাটিরও ক্ষতি হচ্ছে।” তিনি জানান, জমির উপরিভাগের ৬ ইঞ্চি মাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। নাড়া পোড়ানোয় মাটির গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলধারণ ক্ষমতা কমে যায়। মাটিতে থাকা উপকারি জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া বায়ু দূষণ তো আছেই।

বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়ে মুর্শিদাবাদের কৃষি উপ-অধিকর্তা দীনেশ পাল বলেন, ‘‘নাড়া পোড়ানো কখনওই সমর্থন করি না আমরা। এতে মাটির নাইট্রোজেন পরিমাণ কমে যায়, পরবর্তী চাষে খাদ্যের গুণমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাটিতে থাকা ভাল ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু না পুড়িয়ে দিয়ে নাড়া যদি মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়, তা হলে তা সার হিসেবে কাজ করবে।’’

তথ্য সহায়তা: বিমান হাজরা

leaflet Administration farmers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy