Advertisement
E-Paper

পেট অল্প কেটে সিজার জেএনএমে

বৃহস্পতিবার দুপুরে হরিণঘাটার বাসিন্দা পাপিয়া খাতুন মণ্ডল প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে জেএনএমে ভর্তি হন। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেন, জরায়ুর ভিতরের জল ভেঙে সম্পূর্ণ বেরিয়ে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:১৪
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে পেট সামান্য কেটে সিজার এক প্রসূতির সিজার করা হল কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল কলেজ ও হাসপাতালে। শুক্রবার সকালের দিকে ওই মহিলার বিশেষ পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মা-শিশু উভয়েই সুস্থ রয়েছে। প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক সৌগত বর্মন জানাচ্ছেন, এই পদ্ধতিতে সিজার এই অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে এই প্রথম করা হল। ভবিষ্যতে জেলার অন্য হাসপাতালগুলিতেও এই পদ্ধতির প্রয়োগ করা হবে। এ ব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গেও কথা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে হরিণঘাটার বাসিন্দা পাপিয়া খাতুন মণ্ডল প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে জেএনএমে ভর্তি হন। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেন, জরায়ুর ভিতরের জল ভেঙে সম্পূর্ণ বেরিয়ে গিয়েছে। ফলে চলতি পদ্ধতিতে সিজার করলে মহিলার সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে কারণ চলতি পদ্ধতিতে পেটের নীচের দিকে অনেকটা কাটতে হয়। এ ভাবে কেটে জরায়ু থেকে সদ্যোজাতকে তুলে আনতে গেলে ভিতরের নানা অঙ্গের সঙ্গে স্পর্শ লাগে। ভেঙে যাওয়া জল ওই সব অঙ্গে লাগলে সংক্রমণ হতে পারে। তখন পেট অল্প কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বীরভূমের কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে এই পদ্ধতিতে সিজার হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা।

সৌগতবাবু বলেন, ‘‘এতে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। রোগীর যন্ত্রণা খুবই কম হয়। আর ত্বকে কোনও সেলাই পড়ে না। রোগীকে খুব বেশি হলে দিনদুয়ের হাসপাতালে থাকতে হয়।’’ এমনিতেই জেলায় জেএনএম ও সদর হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে শয্যার থেকে বেশি রোগী থাকেন। জেএনএমে দুটি শয্যাকে এক জায়গায় এনে তাতে তিন জন করে রোগী রাখা হয়। কারণ, সাধারণ নিয়মে সিজার করলে রোগীকে অন্তত দিন সাতেক হাসপাতালে থাকতে হয়। কিন্তু এই নতুন পদ্ধতিতে সিজার করলে করলে রোগীর হাসপাতালে থাকার সময় কমে যায়। তাড়াতাড়ি শয্যা খালি হয়। অন্য রোগী ভর্তি হতে পারেন। ফলে সব দিক দিয়ে পদ্ধতিটি সুবিধাজনক।

Caesar Operation Doctor Hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy