ছবি তুলেছেন গৌতম প্রামাণিক।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই! তিন বছর আগে ২০১৬ সালের ২৭ অগস্ট মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনার পরে মৃত্যুর সঠিক হিসেব দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে! একই ভাবে বুধবারে আগুন-আতঙ্কের পরেও মিলছে না মৃত্যুর সঠিক তথ্য।
এ দিন বেলডাঙার মাড্ডা এলাকার অনিমা মণ্ডল নামে মাঝবয়সী এক মহিলা সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান বলে পরিবারের দাবি। কিন্তু মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ দেবদাস সাহা বলছেন, ‘‘এক জন রোগীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার সময়ে মারা গিয়েছে বলে শুনেছি। তবে এর সঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর যোগ আছে কি না, তা তদন্তে করে দেখা হচ্ছে।’’
সে বারও হাসপাতালের দোতলার একটি ঘর থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছিল। প্রাণের ভয়ে রোগী ও রোগীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কর্মরত আয়ারা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে গিয়ে পদপিষ্ট হন। মারা গিয়েছিলেন হাসপাতালের আয়া মামনি সরকার এবং রোগীর বাড়ির আত্মীয় পলাশির বাসিন্দা পূর্ণিমা ঘোষ। এ দিনও অনিমার সঙ্গে আরও এক জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলছেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই মৃত্যুর হিসেব দিচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy