শৌচাগারে যেতে হলে নাকে কাপড় দিয়েই হবে। আর সন্ধ্যা নামলেই ভুতুড়ে বাড়ির মতো গোটা হাসপাতাল চত্বরে নেমে আসে অন্ধকার। শয্যায় গদি থেকে বেরিয়ে আসছে তুলো। জলঙ্গির সাদিখাঁড়দেয়াড় গ্রামীণ হাসপাতালের এমনই নানা অসঙ্গতিতে সরব হলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে বিএমওএইচকে স্বারকলিপিও জমা দিয়েছেন।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আরিফ বিল্লার দাবি, ‘‘একটা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কতটা নোংরা হতে পারে, তা সাদিখাঁড়দেয়াড় গ্রামীণ হাসপাতালে না গেলে বোঝা যাবে না। রোগীর বেডের পাশে গামলায় কয়েকদিনের নোংরা-সহ জল পড়ে আছে। বেডের গদির তুলো বেরিয়ে পড়ছে। শৌচাগারে কোনও রোগী ঢুকতেই পারেন না। এছাড়াও খাবারের মানও খারাপ, জেনারেটর নেই। সব মিলিয়ে একটা ভুতুড়ে বাড়ির চেহারা নিয়েছে আমাদের হাসপাতাল।’’ অন্য দিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে পরিষেবা দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ডোমকল মহকুমা হাসপাতাল চালু হওয়ার পর থেকেই ওই গ্রামীণ হাসপাতালের অবনতির শুরু। এমনকী মহকুমা হাসপাতালের জন্য বেশ কিছু যন্ত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই হাসপাতাল থেকে। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এক সময় এক্সরে থেকে ইসিজি—সবই হত এখানে। এখন এক্সরে মেশিন থাকলেও তা করা হয় না। দালাল চক্রে ভরে গিয়েছে হাসপাতাল। এলাকার বাসিন্দা নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘রোগীদের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীরা খারাপ ব্যবহার করেন। প্রসূতি মায়েদের কাছ থেকে আয়ারা জোর করে টাকা আদায় করে। খাবারের মান নিম্ন। বিষয়টি বিএমওএইচকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।’’
জলঙ্গির বিএমওএইচ অমর ঘোষ বলেন, ‘‘এক দিকে পুরানো বাড়ি, তার পরে কর্মীর সংখ্যা খুব কম। ফলে পরিষেবা দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আর জেনারেটর না থাকায় বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যা আছে। টেকনিশিয়ানের অভাবে এক্সরে বন্ধ। তবে খাবারের মান খারাপ নয়।’’