Advertisement
E-Paper

ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব পিএফের ৮০ হাজার

ভুয়ো নথি দিয়ে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের জঙ্গিপুর শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলে দুই বিড়ি শ্রমিকের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। বিষয়টি জানাজানি হতে নড়েচড়ে বসল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ওই সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান সমীরকান্তি দত্ত বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে অ্যাকাউন্ট খোলা নিয়ে সমবায় ব্যাঙ্কের জঙ্গিপুর শাখায় কিছু অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। যারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৫ ০০:৫৯

ভুয়ো নথি দিয়ে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের জঙ্গিপুর শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলে দুই বিড়ি শ্রমিকের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। বিষয়টি জানাজানি হতে নড়েচড়ে বসল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

ওই সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান সমীরকান্তি দত্ত বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে অ্যাকাউন্ট খোলা নিয়ে সমবায় ব্যাঙ্কের জঙ্গিপুর শাখায় কিছু অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। যারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে এ নিয়ে তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কের এক্সিকিউটিভ অফিসার জঙ্গিপুর শাখায় যাবেন। তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে যথপোযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ওই সমবায় ব্যঙ্কের জঙ্গিপুর শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে পাঁচ জন মহিলাকে নিয়ে এসে ওই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলান এক গ্রাহক। দিন কয়েক আগে সেই অ্যাকাউন্টে বিড়ি শ্রমিকদের পিএফের টাকা জমাও পড়ে। টিপ সই দিয়ে দু’জনের অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা তুলে নেওয়া হয়। বুধবার দুই বিড়ি শ্রমিক রথবালা মাঝি ও নিত্যবালা মাঝি নামে দুই বিড়িশ্রমিক ব্যাঙ্কে এসে টাকা তুলে ব্যাপারটি জানতে পারেন। শুরু হয় হইচই। পরে জানা যায় ভুয়ো নথি দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে কমবেশি ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জঙ্গিপুর শাখার ম্যানেজার কৃষ্ণ প্রসাদ বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের কর্মীরা ছবি মিলিয়ে না দেখেই ওই অ্যাকাউন্টগুলি খুলেছেন। গাফিলতিটা সেখানেই। এই গাফিলতি কী ভাবে ঘটল তা তদন্ত না হলে বলা সম্ভব নয়। বিষয়টি আমি জেলা অফিসে জানিয়েছি। তাদের নির্দেশ পেলেই পুলিশের কাছে এফআইআর করা হবে।’’

কানুপুরের বাসিন্দা রথবালাদেবী জানান, পিএফের ৪০,০০৬ টাকা পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মতো নিজের গ্রামে একটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলেন। যে বিড়ির ঠিকাদারের অধীনে তিনি বিড়ি বাঁধাইয়ের কাজ করেন, পিএফ অফিসে জমা দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে সেই অ্যাকাউন্ট নম্বর জমা দেন। নিয়ম মতো সরাসরি সেই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় পিএফ অফিসে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন টাকা ওই সমবায় ব্যাঙ্কের জঙ্গিপুর শাখায় পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বুধবার ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখি অন্য এক মহিলাকে রথবালা সাজিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে সব টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই অ্যাকাউন্ট খোলার সময় অ্যাকাউন্টের প্রস্তাবক সাক্ষী হিসেবে সই রয়েছে বিড়ির ঠিকাদারের ছেলেরই। একই ভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে অন্য বিড়ি শ্রমিকদেরও।’’

একই ভাবে প্রতারিত হয়েছেন, ওই গ্রামেরই বাসিন্দা নিত্যবালা মাঝিও। ৪০ হাজার ৪০০ টাকা পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সব টাকাই তুলে নেওয়া হয়েছে। নিত্যবালাদেবী বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই প্রতারিত হয়েছি। অবিলম্বে প্রতারণা চক্রে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে হবে।’’

প্রতারণার খবর পেয়ে ছুটে আসেন হাইস্কুলের শিক্ষক রামকৃষ্ণ মাঝি। তিনি বলেন, ‘‘বিড়ি শ্রমিকদের পিএফের টাকা প্রতারণার অভিযোগ এর আগেও ধরা পড়েছে। সে ক্ষেত্রেও এক বিড়ির ঠিকাদারকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এ ক্ষেত্রেও গরীব বিড়ি শ্রমিকেরা যাতে টাকা ফেরত পান সে জন্য ব্যাঙ্ককে অভিযোগ দায়ের করতে হবে।’’

Bank Eighty thousand Raghunathganj Jangipur kanupu
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy