Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

জাল নোটই মাথাব্যথা

জাল নোট পাচার রুখতেই এ বছর জাল নোট সংক্রান্ত চারটি মামলার ভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বিমান হাজরা
ফরাক্কা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৩১
Share: Save:

জাল নোট পাচারের সুতোয় জড়িয়ে গিয়েছে মালদহের বৈষ্ণবনগরের নাম। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভারতের যেখানে যত জাল নোট ধরা পড়েছে, সব ক্ষেত্রেই এনআইএ-এ জানতে পেরেছে কোনও না কোনও ভাবে জড়িয়ে রয়েছে মালদহের বৈষ্ণবনগর।

জাল নোট পাচার রুখতেই এ বছর জাল নোট সংক্রান্ত চারটি মামলার ভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। একই ভাবে ২০১৮ সালের জাল নোটের ৬টি মামলার তদন্ত ভার পেয়েছে এনআইএ। দেশজুড়ে জাল টাকা লেনদেনের উৎস হিসেবে তদন্তে বারবার মালদহের নাম উঠে আসায় সেখানে এনআইএ তাদের একটি শাখা অফিসও খুলেছে।

বিএসএফ কর্তারা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা রয়েছে মালদহের কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগরে। ফলে বাংলাদেশের এই সীমান্ত দিয়ে জাল নোট পাচারের রমরমা। সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানেরা ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন রয়েছে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের দিক থেকে এপারে চালান হয়ে যাচ্ছে জাল টাকা। সীমান্ত এলাকার ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামের মধ্যে দিয়ে ছোট্ট একটা ব্যাগ নিয়ে যাতায়াত করলে তাই ধরা পড়া মুশকিল হয়। অল্প খেটে মোটা আয়ের পথ হিসেবেই পাচারের ব্যবসাকে বেছে নিচ্ছে এলাকার অনেকেই। জানা গিয়েছে, ১ লক্ষ জাল নোটের বদলে ভারতীয় ৪০ হাজার টাকা পেয়ে থাকে পাচারকারীরা।

জঙ্গিপুরের সরকারি আইনজীবী আফজলউদ্দিন বলছেন, “এক বছরে অন্তত ১০টি জোল নোটের মামলায় সাজা হয়েছে। ধরাও পড়ছে প্রায় প্রতি দিনই। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাজা পাঁচ থেকে সাত বছরের বেশি নয়। ফলে জেল থেকে বেরিয়ে ফের জাল নোট পাচারে জড়িয়ে পড়ছে তারা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Fake Currency NIA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE