Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
woman

Post-Mortem: দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তে রাজি পরিবার

পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মার্চ বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন গাংনাপুরের মাঝেরগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গাংনাপুর শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২২ ০৫:২৮
Share: Save:

গাংনাপুর কাণ্ডে মহিলার মৃতদেহ দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত করাতে জন্য রাজি হল তাঁর পরিবার। বাড়ির লোকজন চাইছেন, আগামী শনিবার কবর থেকে মৃতদেহ তোলা হোক। এর আগে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁরা ফের মৃতদেহের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করাতে চাননি। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এক জন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে। এক বিবাহিত তরুণীকে গণধর্ষণ করে মুখে বিষ ঢেলে খুনের এই মামলায় রানাঘাট জেলা পুলিশের গড়া চার জনের বিশেষ তদন্তকারী দল তদন্ত করছে।

পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মার্চ বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন গাংনাপুরের মাঝেরগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী। পরের দিন তাঁকে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে বারাসাত হাসপাতালে রেফার করা হলেও সেখানে না নিয়ে গিয়ে তাঁকে স্বরূপনগরে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন। ১৪ মার্চ কল্যাণী জেএনএমে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। পরের দিন সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরের দিন তাঁকে কবরস্থ করা হয়েছিল।

তরুণীর স্বামী বিদেশে কর্মরত। তরুণীর মা রানাঘাট ২ ব্লকের আঁইশমালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। তাঁর আইনজীবী বাবলু চক্রবর্তী জানান, ১৭ মার্চ মায়ের তরফে পুলিশের কাছে মেয়েকে ধর্ষণ করে বিষ ঢেলে দিয়ে খুনের অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় এক মাস পরে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। আগামী ১১ মে হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পুলিশ অবশ্য ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে।

ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। রানাঘাট পুলিশ জেলার ডিএসপি (ডিআইবি) শিমুল সরকারকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারী দলের বাকিরা তাঁকে সাহায্য করবেন। ইতিমধ্যে মৃতার গ্রামে গিয়ে তাঁরা পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

আইনজীবী বাবলু চক্রবর্তীর দাবি, “এর আগে পদ্ধতিগত ভুল থাকায় মৃতদেহ দ্বিতীয় বার ময়না তদন্ত করতে দেওয়া হয়নি।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রানাঘাট) রূপান্তর সেনগুপ্ত বলেন, “আমরা গোড়া থেকেই দ্বিতীয় বার মৃতদেহের ময়না তদন্ত করাতে চেয়েছিলাম। পরিবারের লোকের আপত্তিতে সেটা করা যায়নি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তাঁরা রাজি থাকলে হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

woman Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE