তাঁর ফের বিয়ের ইচ্ছেয় বাদ সেধেছিলেন স্ত্রী। তা নিয়ে অশান্তির জেরে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলেন স্বামী। এই অভিযোগেই শনিবার সকালে নিরঞ্জন ঘোষ নামে এক মাঝবয়সী ব্যক্তিরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ভোরে সুতি থানার লোকাইপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। মৃতার নাম টুকটুকি ঘোষ (৪০)। মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার হাঁসুয়ার কোপে গুরুতর জখম হন ছেলে উত্তম ঘোষ। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মাস দুই আগে মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট ছেলে উত্তমেরও বিয়ে হয়েছে গ্রামেই। সে পাশের বাড়িতেই থাকে। বড় ছেলে গৌতম থাকে গ্রামেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, কিছু দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। শুক্রবার রাতে নিজেদের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া সেরে দুই ছেলে ঘুমোতে যায় তাদের থাকার জায়গায়। বাড়িতে ছিলেন শুধু নিরঞ্জন আর টুকটুকি। ভোরে মায়ের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় পাশের বাড়িতে থাকা উত্তমের। বাড়িতে ছুটে গিয়ে তিনি দেখেন, হাঁসুয়া দিয়ে মাকে কোপাচ্ছে বাবা। মাকে বাঁচাতে গেলে নিরঞ্জন তাঁকেও কোপাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। হইচই শুনে পাড়াপড়শিও ছুটে এসেছিলেন। চলে আসেন বড় ছেলে গৌতমও। বেগতিক বুঝে নিরঞ্জন পালানোর চেষ্টা করলেও সকলে তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে তাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে।
গৌতমের দাবি, “বাবা চাইছিল, গ্রামেরই এক মহিলাকে বিয়ে করতে। আমরা বাধা দিই। তাতেই যত রাগ। আমরা বাড়িতে থাকায় দিনে মাকে মারধর করতে পারত না। একই ঘরে থাকার সুযোগ নিয়ে রাতে মাকে খুন করেছে বাবা।” তিনিই বাবার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy