Advertisement
E-Paper

শাশুড়ি-বৌ চুলোচুলি, রুজু নালিশ

বৌমার বিরুদ্ধে অত্যাচার করার অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন শাশুড়ি। বৌমার পাল্টা অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে তাঁকেই নির্যাতন করা হয়। উভয়েই শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০৫
সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ল চুলোচুলির ছবি। নিজস্ব চিত্র

সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ল চুলোচুলির ছবি। নিজস্ব চিত্র

বাড়ির বৌয়ের গতিবিধি রেকর্ড করার জন্য লাগানো হয়েছিল সিসি ক্যামেরা। তাতেই ধরা পড়ল বৌমা-শাশুড়ির ধস্তাধস্তির ছবি।

বৌমার বিরুদ্ধে অত্যাচার করার অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন শাশুড়ি। বৌমার পাল্টা অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে তাঁকেই নির্যাতন করা হয়। উভয়েই শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছর পাঁচেক আগে শান্তিপুর থানার ফুলিয়াপাড়ার রিঙ্কু ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই এলাকারই দীপঙ্কর ঘোষের। তাঁদের একটি চার বছরের মেয়েও আছে। বছর চারেক আগেই রিঙ্কু শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করে বাপের বাড়ি চলে যান। বছরখানেক আগে শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন।

প্রায় আট কাঠা জায়গা নিয়ে ফুলিয়াপাড়ায় জাতীয় সড়কের ধারে রিঙ্কুর শ্বশুরবাড়ি। তাঁর স্বামীর একটি পাইস হোটেল ছিল বাড়ির সামনেই। পরে তিনি সেখানে টোটো সারানোর গ্যারাজ করেন। তাঁর ভাইয়ের একটি মিষ্টির দোকান আছে। মাস পাঁচেক আগে অসুখে ভুগে দীপঙ্করের মৃত্যু হয়। এর পরেই ঝামেলা শুরু হয় বলে উভয় পক্ষের অভিযোগ।

রিঙ্কুর শাশুড়ি শঙ্করী ঘোষের অভিযোগ, বাড়ির সম্পত্তির ভাগ তাঁকে লিখে দিতে হবে, এই দাবি তুলে রিঙ্কু তাঁর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন।

তাঁর অভিযোগ, “বৌমা চায়, সম্পত্তি ভাগ করে দিতে হবে এখনই। কিন্তু আমি তা করব কেন? গত ১৪ নভেম্বর বৌমা আমাকে মারধর শুরু করে। ওর কীর্তি ফাঁস করার জন্য বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছিল আমার ছোট ছেলে। তাতে সব ধরা পড়ে। বৌমার মারধরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।’’ এর পর থেকে রিঙ্কু বাপের বাড়িতেই রয়েছেন বলেও তিনি জানান।

সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজও পুলিশের কাছে হাজির করেছেন শঙ্করী। সেখানে একটি চাদর নিয়ে তাঁর আর রিঙ্কুর টানাটানির দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। যদিও রিঙ্কুর পাল্টা অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে তাঁকে নির্যাতন করা হত। তাঁর কথায়, “আমার মেয়েকে এক দিন ঘরে আটকে পর্যন্ত রেখেছিল ওরা। আমি সম্পত্তির ভাগ চাইনি। আমাকে ওরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলত। আমি কাউকে মারিনি।”

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তা হলে কী দেখা গেল? শঙ্করী যে দাবি করছেন, তাঁকে মারধর করা হয়েছে?

রিঙ্কুর দাবি, তিনি মোটেই মারধর করেননি। তাঁর একটি বিছানার চাদর শাশুড়ির থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টী করছিলেন শুধু। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Family Fighting Shantipur CC Footage
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy