Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

নিভৃতবাস সোনার পাথরবাটি

দু-একটি গ্রামে ফাঁকা স্কুলবাড়ি বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শ্রমিকদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেখানে বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ০৪:৫০
Share: Save:

হোম কোয়রান্টিন— চালু লব্জটা নিয়ে বেশ ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদের আনাচকানাচে। ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ঠাঁই হিসেবে স্বাস্থ্য দফতরের বিধি, ঘরে থাকুন, হোম কোয়রান্টিনে। কিন্তু নির্দেশ তো জারি হল, থাকবে কোথায়! গাঁ-গঞ্জের হতদরিদ্র শ্রমিক পরিবারগুলির চৌখুপ্পি গ্রামীণ ঘরে গাদাগাদি করে সকলের ঠাঁই হবে কী করে! হোম কোয়রান্টিন তাই সোনার পাথরবাটি হয়েই রয়ে গিয়েছে।

দু-একটি গ্রামে ফাঁকা স্কুলবাড়ি বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শ্রমিকদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেখানে বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

এ দিকে জেলায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আক্রান্তদের সিংহভাগই ভিনরাজ্য থেকে ঘরে ফেরা শ্রমিক কিংবা তাঁদের পরিবারের লোকজন। নতুন করে সাত শ্রমিকের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তাঁরা প্রত্যেকেই মহারাষ্ট্র থেকে দিন কয়েক আগে ঘরে ফিরেছেন। বুধবার বিকেল পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭। আক্রান্তদের মধ্যে ডোমকল ব্লকের ১৩ জন। তাঁদের ৫ জনের কলকাতা যোগ থাকলেও বাকিরা এসেছেন মহারাষ্ট্র এবং ৩ জন গুজরাত থেকে। নবগ্রাম ব্লকের ১০ জন আক্রান্তের মধ্যে ৯ জনই মহারাষ্ট্র ফেরত এবং একজন ওড়িশা থেকে ফিরেছেন। বেলডাঙা ২ ব্লকের ৮ জন আক্রান্তই এসেছেন মহারাষ্ট্র থেকে। মোট আক্রান্ত ৬৯ জনের মধ্যে ৪৩ জনই মহারাষ্ট্র থেকে ঘরে ফিরেছেন। ফরাক্কার ৫ আক্রান্তের মধ্যে ৪ জনই মহারাষ্ট্র ফেরত। সাগরদিঘির ৬ আক্রান্তই মহারাষ্ট্র ফেরত।

ঘরে ফেরা শ্রমিকদের বিভিন্ন স্কুল বাড়িতে রাখার অনুমতি দেওয়া নিয়ে দাবি উঠেছে। বিরোধীরা তো বটেই শাসকদলের বহু নেতা-কর্মীরাই অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, এমনকি শিক্ষকদের একাংশ বলছেন ঘরে ফেরা শ্রমিকদের স্কুল বাড়িতে রাখার অনুমতি দিক রাজ্য সরকার। কিন্তু তা সব সময় কার্যকর হয়নি।

ইতিমধ্যে হরিহরপাড়া ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিডিওর কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মীর আলমগীর বলেন, ‘‘ঘরে ফেরা শ্রমিকদের অধিকাংশের বাড়িতে হোম কোয়ারান্টিন বা নিভৃতবাসে থাকার মতো পরিবেশ বা পরিস্থিতি নেই। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে স্কুল ছুটি রয়েছে। স্কুল খুলতে এখনো দেরি হয়েছে। ফলে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে শ্রমিকদের স্কুল বাড়িতে রাখার অনুমতি দিক সরকার।’’

জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘ঘরের মানুষ ঘরে ফিরছেন সেটা স্বাভাবিক। তবে পরিস্থিতির কারনে বিভিন্ন স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ফ্লাডশেল্টারে ঘরে ফেরা শ্রমিকদের থাকার বন্দোবস্ত করতে হবে প্রশাসনকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Home Quarantine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE