Advertisement
E-Paper

ফের বিতর্কিত কথা হুমায়ুনের

নিজেরা নিরাপত্তা নিয়ে হুমায়ুন বলেন, ‘‘এখানে অনেক চক্রান্তকারী রয়েছে। তবে আমাকে কিছু করতে পারবে না।’’

হুমায়ুন কবীর।

হুমায়ুন কবীর। —ফাইল চিত্র।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৯
Share
Save

দল বিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগে দু’দিন আগেই ভকরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে দলের রাজ্যের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি শো-কজ় করেছিল। শুক্রবার তারই জবাব দিয়েছেন। আর তার পরেই শনিবার দুপুরে হুমায়ুন নিজের দলের জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানের সমালোচনা করলেন। আবার বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর প্রশংসা করে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা জানালেন হুমায়ুন।

হুমায়ুনকে শো-কজ় করা নিয়ে অধীর বলেছেন, ‘‘তাঁর তো বলার অধিকার আছে। খারাপ কথা কিছু বলছেন বলে মনে তো হয় না। ভাল লাগছে তাঁর হিম্মতকে।’’ হুমায়ুন বলছেন, ‘‘অধীরদা আমাকে ভাল করে চেনেন। তাঁর সঙ্গে আমার ১৯৮২ সাল থেকে চেনাজানা। অধীরদার সম্পর্কে আমার কৃতজ্ঞতা রয়েছে। এখনও আমার ছেলেমেয়ে, জামাই তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে, তিনিও খোঁজ খবর নেন। আমি বছর দুয়েক থেকে তাঁর সঙ্গে কথা বলি না। তার মানে এই নয় অধীরদার শারীরিক সুস্থতা কামনা করব না। অধীরদার ব্যক্তিগত ক্ষতি কোনও দিনই চাইব না। অধীরদা যেটা ভাল মনে করেছেন, বলেছেন।’’

নিজেরা নিরাপত্তা নিয়ে হুমায়ুন বলেন, ‘‘এখানে অনেক চক্রান্তকারী রয়েছে। তবে আমাকে কিছু করতে পারবে না।’’

সেই সঙ্গে হুমায়ুন বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে কী কাজ হয়? গ্রামের মানুষ পরিষেবা পান?’’ হুমায়ুন বলেন, ‘‘জেলায় নেত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে। আমি যত ক্ষণ আছি এই জেলার যে দু’জন অ্যাডহক প্রেসিডেন্ট এবং চেয়ারম্যান হয়ে আছেন, তাঁদের আগামী দিনে কর্মী নিয়ে সোজা করব। এই যে ভোটার তালিকার কাজ চলছে, তার তদারকি করার দায়িত্ব জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যানের। তাঁরা কোনও বুথের খোঁজ রাখেন?’’

জেলা তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘দলের সর্ব স্তরের নেতৃত্ব সাংগঠনিক কাজকর্ম নিয়ে রয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ যেমন সকলে দেখছেন, দলের অন্য কর্মসূচিও নিয়মিত করি। মানুষ এসে কাজ পাননি এমন অভিযোগ পাইনি। ভুল ত্রুটি থাকলে জেলার সিনিয়র নেতৃত্ব বা রাজ্য নেতৃত্ব সংশোধন করে দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ করি। কোথায় কে কী বলল তার জবাব মুর্শিদাবাদের মানুষ গত লোকসভায় তিনটি আসনে আমাদের জয়ী করে দিয়েছেন। ফলে তিনি কোথায়, কার সঙ্গে, কী সম্পর্ক রাখলেন, তা আমাদের কাছে গুরুত্বহীন।’’ কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘শরীরের বা রাজনৈতিক বার্ধক্য এলে অনেক সময়ে স্মৃতিচারণে সত্য জিনিস প্রকাশ পায়। কিন্তু আবার দিদির বকা খাবেন না তো।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Humayun Kabir Berhampore

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}