বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা চালু হচ্ছে কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। মেডিক্যাল কলেজের নিয়ন্ত্রণাধীন গাঁধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে মাস দেড়েক আগেই বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। তারও আগে প্রথমে জেএনএম হাসপাতালেই এই হাজিরা ব্যব্যস্থা চালুর চেষ্টা হয়। কর্মীদের একাংশের বাধায় তা চালু করা যায়নি। তবে কর্মীদের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে জেএনএমে এই ব্যবস্থা চালু করে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। অধিকাংশ কর্মীরা মেনে নেওয়ায় অনিচ্ছুক কর্মীরা এখন একঘরে হয়ে পড়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দিন কয়েকের মধ্যে সমস্ত কর্মীদের নতুন হাজিরা ব্যবস্থার মধ্যে এনে ফেলা হবে।
গাঁধী মেমোরিয়াল, জেএনএম হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক এবং অচিকিৎসক কর্মীর সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। তার মধ্যে গাঁধী মেমোরিয়ালে কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৫০। মাস কয়েক আগে গাঁধী মেমোরিয়াল হাসপাতালকে জেএনএম মেডিক্যাল কলেজের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কর্তৃপক্ষ প্রথমে জেএনএম হাসপাতালেই বায়োমেট্রিক অর্থাৎ স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রে আঙুলের ছাপ দিয়ে হাজিরা ব্যবস্থা চালু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় অচিকিৎসক কর্মীদের একাংশের কাছ থেকে প্রবল বাধা এসেছিল। আপত্তি ছিল কিছু চিকিৎসক এবং নার্সেরও।
মাস কয়েক আগে বিতর্ক ছিল জেএনএম হাসপাতালের নিত্যসঙ্গী। এখন পরিস্থিতি শান্ত। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের মতো করে শৃঙ্খলা ফেরাতে চাইছে। তারই একটি পদক্ষেপ আধুনিক হাজিরা ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা চালু হলে নিজে না এসে বা সময়ে না এসে পরে সই করে হাজিরা দেওয়া যাবে না। সেই জন্যই বেঁকে বসেন কর্মীদের একাংশ। তাঁরা কর্তৃপক্ষকে ওই ব্যবস্থা চালু করতে বাধা দিচ্ছিলেন। আলোচনা করেও কোনও লাভ হয়নি।
এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ গাঁধী মেমোরিয়ালে বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা চালু করে ফেলে। হাসপাতালের সুপার সুবিকাশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘গাঁধী মেমোরিয়ালে এই ব্যবস্থা চালু করতে কোনও সমস্যা হয়নি। সব কর্মীই এই ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন।’’ গাঁধীতে এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাওয়ার পরে জেএনএম হাসপাতালে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। মেডিক্যাল কলেজে কোনও সমস্যা হয়নি। হাসপাতালেও চিকিৎসক-নার্সদের জন্য চালু হওয়ার পরে তা ব্যবহারও করতে শুরু করেন তাঁরা। তাতেই চাপে পড়ে যান অনিচ্ছুক কর্মীরা। নিজেদের দাবির সমর্থনে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু, এই ইস্যুতে নেতারা তাঁদের পাশে দাঁড়াতে রাজি হননি। ফলে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতেই হয় তাঁদের। দিন কয়েকের মধ্যেই সব কর্মীদের জন্যই এই হাজিরা ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে বলে
জানিয়েছেন সুবিকাশবাবু।
সফর: বিজেপির জনসভায় দলের নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। চাপড়ায়। নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy