Advertisement
E-Paper

আমন্ত্রণপত্রে নেই জাকিরের নাম

শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘শুনেছি, আমার এলাকায় ছাত্র যুব উৎসব হচ্ছে। কিন্তু আমাকে সেই সরকারি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কেউই কিছু জানায়নি। আমি সেই উৎসবে আমন্ত্রণও পাইনি।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৫১

ভরা সভায় দলের কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ক’দিন আগেই। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার নিজের বিধানসভা এলাকার সরকারি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রেও তাঁর নাম নেই! আমন্ত্রণপত্র ছাপানোর দায়িত্বে ছিল প্রশাসন।

শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘শুনেছি, আমার এলাকায় ছাত্র যুব উৎসব হচ্ছে। কিন্তু আমাকে সেই সরকারি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কেউই কিছু জানায়নি। আমি সেই উৎসবে আমন্ত্রণও পাইনি।”

রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লক ছাত্র যুব উৎসবের আমন্ত্রণপত্রে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নাম থাকলেও রাখা হয়নি জঙ্গিপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী জাকির হোসেনের নাম। তাঁকে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি।

গত ৩ জানুয়ারি ম্যাকেঞ্জি স্টেডিয়ামে দলের প্রকাশ্য সভায় ভাষণ দিতে উঠে এক শ্রেণির দলীয় কর্মীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন জাকির। ভরা মঞ্চে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়তে হয় দলের জেলা সভাপতি-সহ অন্য নেতাদের। সেই ঘটনার পরে এ বার সরকারি অনুষ্ঠানে মন্ত্রীকে এ ভাবে ছেঁটে ফেলার ঘটনায় দলের নেতারাও অস্বস্তিতে পড়েছেন। ক্ষুব্ধ তৃণমূলের জঙ্গিপুরের মহকুমা সভাপতি বিকাশ নন্দ জানিয়ে দিয়েছেন, “মন্ত্রীকে নিয়েই জঙ্গিপুরে সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান করতে হবে প্রশাসনিক কর্তাদের। এটাই প্রশাসনিক শিষ্টাচার।”

১২ জানুয়ারি ব্লক ছাত্র–যুব উৎসব ও বিবেক চেতনা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে শ্রীকান্তবাটি হাইস্কুলে। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রটি ছাপানো হয়েছে উৎসব কমিটির পদাধিকারী সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিয়া পারভিন, বিডিও সৈয়দ মাসাদুর রহমান-সহ কয়েক জনের নামে।

আমন্ত্রণ পত্রে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে নাম রয়েছে তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মহম্মদ সোহরাব, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মুক্তিপ্রসাদ ধর ও তৃণমূলের জঙ্গিপুর মহকুমা সভাপতি বিকাশ নন্দের। অথচ জেলার একমাত্র মন্ত্রীরই নাম নেই!

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের টিয়া পারভিন বলছেন, “মন্ত্রীকে আমরা শ্রদ্ধা করি। কিন্তু গত ৩ জানুয়ারি ম্যাকেঞ্জি স্টেডিয়ামে একটি দলীয় সভায় তাঁকে ঘিরে চরম বিক্ষোভ হয়েছে। এটা সরকারি উৎসব। ছাত্র-যুবরা থাকবেন সেখানে। মন্ত্রী উপস্থিত থাকলে যদি ফের বিক্ষোভ হয়, এই আশঙ্কা থেকেই তাঁকে এই উৎসব মঞ্চে না রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”

যা শুনে তৃণমূলের মহকুমা সভাপতি বিকাশ নন্দ বলছেন, “এটা সরকারি অনুষ্ঠান। অথচ সে অনুষ্ঠানে আমাদের নাম রাখার আগে এক বারও অনুমতি নেওয়া হয়নি। মন্ত্রীকে তাঁর নিজের এলাকার সরকারি অনুষ্ঠানে অনাহুত রেখে এবং কার্ডে দলের কিছু নেতার নাম ছাপিয়ে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে। এটা অশোভনীয়। জাকির হোসেন মন্ত্রী। তাঁকে সামনে রেখেই কাজ করতে হবে সকলকে।”

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মুক্তি প্রসাদ ধর বলছেন, “কোনও প্রশাসনিক কর্তা আমার নাম ব্যবহারের আগে আমার সঙ্গে কথা বলেননি। সরকারি অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী থাকবেন এটাই রীতি। প্রশাসনিক কর্তারা এই রীতি ভেঙে ঠিক করেননি। তাই ওই সরকারি অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রশ্নই নেই।”

তৃণমূলের জেলার চেয়ারম্যান মহম্মদ সোহরাবের কথায়, “ জাকির হোসেন মন্ত্রী ও এলাকার বিধায়ক। তাঁরই তো থাকার কথা সরকারি অনুষ্ঠানে। তাঁর বদলে আমাদের নাম কেন? কেউ এ ব্যাপারে কিছুই জানায়নি আমাকে।”

তবে সোমবার বিডিও সৈয়দ মাসাদুর রহমান বলেছেন, “ওটা ভুলবশত ঘটেছে। আমি নির্দেশ দিয়েছি, সমস্ত পুরনো আমন্ত্রণপত্র তুলে নিতে। আবার নতুন করে মন্ত্রীর নাম-সহ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র ছাপিয়ে বিলি করতে বলা হয়েছে।”

TMC TMCP Invitatio Jakir Hossain
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy