অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কষ্টের মধ্যে দিন কেটেছিল। এক সাক্ষাৎকারে এমন বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনেছিলেন কুমার শানুর প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্য। সেই সব মন্তব্যের জন্য প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন শানু। এমনকি, ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন তিনি। এ বার পাল্টা মুখ খুললেন রীতা।
রীতা সেই সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছিলেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাঁকে অত্যাচার করা হয়েছে। খেতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে থেকেছেন শানু। এই অভিযোগগুলি গায়কের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে আইনি নোটিসে জানিয়েছিলেন শানুর আইনজীবী। ১৭ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানির দিন শানুর তরফ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে রীতা জানিয়েছেন, যে পরিমাণ অর্থের কথা আদালতে বলা হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থই চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রীতা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমাকে ওর তরফ থেকে যে কাগজ পাঠানো হয়েছে, সেখানে ৫০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না, শানু কী ভাবে ভাবছে আমার এত টাকা আছে। সত্যিই দুঃখজনক। আমি খুবই অবাক। ও নিজের তিন সন্তানের মায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে।”
রীতা জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে আদালতে শানুর দেখা হবে। তখন প্রাক্তন স্বামীকে ভাল মানুষ হওয়ার অনুরোধ করবেন তিনি। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে এই অনুরোধ তাঁর। রীতার কথায়, “আমাদের ভালবাসতে হবে না। অন্তত আমাদের বিরক্ত বা হেনস্থা কোরো না। এটুকুই বলার।”
‘বিগ বস্’-এ গিয়ে কুমার শানুর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা প্রকাশ করেছিলেন কুনিকা সদানন্দ। তার পর থেকেই বিতর্ক ঘনীভূত হতে থাকে। এক সাক্ষাৎকারে রীতা বলেন, “আমি যখন অন্তঃসত্ত্বা, তখন ওর একটা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কও ছিল। সেটা এতদিনে প্রকাশ্যে এসেছে। অথচ, আমাকে সেই সময়ে আদালতে নিয়ে গিয়েছিল। তখন আমার খুব অল্প বয়স। মনে হয়েছিল, আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। আমার পরিবারও চমকে গিয়েছিল।”