—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পূর্ণ কর্মবিরতি নয়। আগের মতো বহির্বিভাগ এবং ওয়ার্ডে জরুরি পরিষেবা চালু রেখেই তাঁরা আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারেরা। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বৈঠকে তাঁরা এই ‘আংশিক কর্মবিরতি’ ও ‘অভয়া ক্লিনিক’ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নদিয়ার একমাত্র মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর।
জেএনএমে রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের কোর কমিটির সদস্য, জুনিয়র ডাক্তার আরমান বলেন, “শুধু নদিয়া নয়, পাশের উত্তর ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলার বিরাট সংখ্যক মানুষ আমাদের হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই আমরা পূর্ণ কর্মবিরতিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ঘটনাচক্রে, আর জি করে নির্যাতিত ও নিহত ছাত্রী কল্যাণী জেএনএম থেকেই এমবিবিএস পাশ করেছেন। জুনিয়র ডাক্তারেরা ঠিক করেছেন, প্রতিবাদ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে আজ, বুধবার তাঁরা চাকদহের মধুসূদননগরে প্লাবিত এলাকায় ‘অভয়া ক্যাম্প’ করবেন। জেএনএমের ১৮ জন জুনিয়র চিকিৎসক প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র নিয়ে সেখানে হাজির থাকবেন।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর নিয়ে শুনানির পরে এ দিন নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় যে পূর্ণ কর্মবিরতি করা হবে না। বরং বর্তমান অবস্থানই বজায় থাকবে। অর্থাৎ জুনিয়র ডাক্তারেরা সাধারণ সময়ের মতো ‘রস্টার’ মেনে কাজ না করলেও প্রয়োজন অনুযায়ী সমস্ত ক্ষেত্রেই পরিষেবা দেবেন। সেখানে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ বা ওয়ার্ডের বাছবিচার করা হবে না।
আগেই এই হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারেরা পূর্ণ কর্মবিরতি থেকে সরে এসে প্রয়োজন অনুযায়ী সমস্ত বিভাগে পরিষেবা দিতে শুরু করেছিলেন। জরুরি বিভাগে তাঁরা সব সময়েই ডিউটি করেছেন। পূর্ণ কর্মবিরতি উঠে যাওয়ার পর থেকেই তাঁরা ইন্ডোর ও আউটডোরে প্রয়োজন মত পরিষেবা দিয়ে এসেছেন। কোনও ওয়ার্ডে কোনও রোগীর অবস্থা খারাপ হলে তাঁরা গিয়ে দেখেছেন। আবার বহির্বিভাগে রোগীর চাপ বেশি হলে জুনিয়র ডাক্তারেরা তাঁদের সিনিয়রদের সহযোগিতা করেছেন। আপাতত সেই ব্যবস্থাই বহাল থাকছে। আরমান বলেন, “আমরা কাজও করব, আবার নিজেদের মতো করে বিচারের দাবিও প্রতিবাদ জানিয়ে যাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy