Advertisement
E-Paper

জয়েন্টে দ্বিতীয় অভিষেক

পরীক্ষার চাপকে দূরে সরিয়ে রেখেই বাজিমাত। পড়াশোনার পাশাপাশি খোলাধুলো, গান গাওয়াকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছিল সে। আর তার ফল পেল কল্যাণীর অভিষেক দত্ত। রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় এবার ইঞ্জনিয়ারিংয়ে দ্বিতীয় হয়েছে সে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৬ ০১:৩৮
অভিষেক দত্ত। —নিজস্ব চিত্র।

অভিষেক দত্ত। —নিজস্ব চিত্র।

পরীক্ষার চাপকে দূরে সরিয়ে রেখেই বাজিমাত। পড়াশোনার পাশাপাশি খোলাধুলো, গান গাওয়াকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছিল সে। আর তার ফল পেল কল্যাণীর অভিষেক দত্ত। রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় এবার ইঞ্জনিয়ারিংয়ে দ্বিতীয় হয়েছে সে। বড় ইঞ্জিনিয়র হয়ে সে নিজে কিছু করতে চায়। আবার পাশাপাশি গানটাও চালিয়ে যেতে চায় পাড়ার আদরের অভি। সে তো বটেই, তার মা-বাবারও আশা ছিল, এবার জয়েন্ট এন্ট্রান্সে প্রথম দশে থাকবে অভিষেক।

অভিষেক কল্যাণী এ ব্লকের বাসিন্দা। তার বাবা অরূপ দত্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারী। মা সোমা দত্ত গৃহবধূ। বোন ক্লাস ফাইভের ছাত্রী। অভিষেক কল্যাণী সেন্ট্রাল মডেল স্কুলের ছাত্র। ৯৫ শতাংশের উপর নম্বর পেয়ে এবার সে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছে।

এমন ফলে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত দত্ত পরিবার। সকাল থেকেই শুভেচ্ছার বন্যা। আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে পাড়ার লোকেরা সবাই বাড়িতে হাজির হচ্ছেন। কিন্তু যাকে শুভেচ্ছা জানাতে যাওয়া, সেই বাড়ি থেকে উধাও। সকাল থেকে তাকে পাকড়াও করেছে বিভিন্ন সংবাদের চ্যানেলের লোকেরা। ঘুরছে এক স্টুডিও থেকে আর এক স্টুডিওয়। আর বাড়িতে সংবাদ মাধ্যেমর ভিড় দক্ষ হাতে সামলে গেল তার বোন।

তার এই সাফল্যের কৃতিত্ব অবশ্য একা নিচ্ছে না অভিষেক। কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে কোচিং নিয়েছিল। তার এই সাফল্যের পিছনে সেই সংস্থার কৃতিত্ব অনেকটাই বলে মনে করে অভিষেক নিজে। তার সঙ্গে বাবা-মা, স্কুলের শিক্ষকদেরও কৃতিত্ব দিতে ভুলছে না অভিষেক।

এমন সাফল্যের রসায়ন কী? লাজুক হেসে অভিষেক জানাল, সে আলাদা করে পড়াশোনা বা পরীক্ষা নিয়ে কোনও চাপকে মাথায় চড়তে দেয়নি। একটানা পড়াশোনা বা দিনের বেশিরভাগ সময় পড়াশোনাও তার পছন্দ নয়। সেই জন্য পড়ার ফাঁকে সে বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ার মাঠে ব্যাট বল নিয়ে নেমে পড়তে ভালবাসে। দেখতে ভালবাসে হলিউডের ছবি। আর তার পছন্দের অনেকটা জুড়ে রয়েছে গান। সে রীতিমতো গান শিখেছে। তাই পড়ার চাপ বাড়লেও গানকে সে ত্যাগ করতে পারেনি। মন খারাপ হোক বা ভাল, গান তার বরাবরের সঙ্গি। সে বলে, ‘‘শুধু চাকরি করার জন্য ইঞ্জিনিয়র হতে চাই না। চাই এমন কিছু বানাতে, যা মানব কল্যাণে কাজে আসবে। আর অবশ্যই নিজে গান তৈরি করতে চায়।’’

joint entrance examination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy