E-Paper

ইদে উপচে পড়া ভিড় অরণ্যে

স্থানীয় দোকানদাররা জানাচ্ছেন, চলতি বছরে মুখ্যমন্ত্রী বন দফতরের সমস্ত প্রবেশ মূল্যে ছাড় দিয়েছেন। সেই কারণে ছুটির দিনে এত ভিড় দেখা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৩৪
সকাল থেকেই ভিড় বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে।

সকাল থেকেই ভিড় বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে। ছবি: সন্দীপ পাল।

সাদা পাঞ্জাবি, পায়ে বাহারি জুতো। ইদের সকালে এভাবেই সেজে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছিল সামিম। লাইনে দাঁড়িয়ে চলছিল বন্ধুদের সঙ্গে খুনসুটিও। সেই সঙ্গে ছিল মনের ছটফটানি। কখন সে হরিণ ময়ূর দেখবে। শুধু সামিম নয়, তার মতো অনেক ছোটরা সোমবার তাই সবাই মিলে ভিড় জমিয়েছিল বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যের সামনে।

ইদের ছুটি। তাই বেলা হলে ভিড় বড়াতে পারে এই ভেবে এদিন সকাল সকাল ছেলেমেদের নিয়ে বহু বামা-মা বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন। গেট খোলার পরেই লম্বা লাইন করে এক একটি দল ঢুকছিল অভয়ারণ্যে। ট্রাফিক থেকে অন্যান্য বিষয়গুলির দিকে নজরদারিতে ছিল নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। ভিড়ের কারণে মনে হচ্ছিল অভয়ারণ্যের সামনে যেন মেলা।

স্থানীয় দোকানদাররা জানাচ্ছেন, চলতি বছরে মুখ্যমন্ত্রী বন দফতরের সমস্ত প্রবেশ মূল্যে ছাড় দিয়েছেন। সেই কারণে ছুটির দিনে এত ভিড় দেখা গিয়েছে। তবে এত ভিড় দেখে ভাল ব্যবসা হওয়ার আশায় খুশি ছিলেন তাঁরাও বলেও খবর।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন প্রায় তিন হাজারের উপর পর্যটক অভয়ারণ্যে এসেছেন। বন দফতরের অনেকেই জানান, গত বছর এক হাজারের মতো পর্যটক হলেও এই বছর তিনগুণ বেড়েছে। তাঁদের মতে, প্রবেশ মূল্য তুলে দেওয়ার কারণেই এই ভিড়। কালীগঞ্জ থেকে সাবির আহমেদ মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন।

তবে অভয়ারণ্য থেকে বেরিয়ে আসার পরে দেখা গেল মেয়েকে ভোলাচ্ছেন। জিজ্ঞাসা করায় সাবির বলেন, ‘‘মেয়ের মন খারাপ। কারণ একটাও হরিণ দেখতে পায়নি। সকাল থেকে মেয়ে বায়না করায় ঘুরতে এসেছিলাম। কিন্তু ওই-ই আনন্দ পেল না, কী আর করা যাবে!’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

eid Bethuadahari

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy