গত বছর থেকে এখনও পর্যন্ত নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে কয়েক হাজার কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেছে বিভিন্ন পুলিশ জেলা ও রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। রাজ্যে গাঁজা পাচার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ার নেপথ্যে কি ওড়িশাই? এ বার এমনটাই ইঙ্গিত দিল পুলিশ।
সম্প্রতি ওড়িশার কান্ধামাল জেলার বালিগোড়া মহকুমা এলাকায় অবৈধ গাঁজা চাষ ও পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গসহ অন্যান্য রাজ্যেও মাদক সরবরাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, রাজ্যে আসা গাঁজার বেশির ভাগই ওড়িশা থেকেই আসছে। তা ছাড়া, গাঁজা পাচারের ঘটনায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওড়িশার বালিগোড়া ও দারিংবাড়ি এলাকায় ব্যাপক ভাবে গাঁজা চাষ চলছে। প্রথম দিকে দু’-এক জন শুরু করলেও, পরে একরের পর একর জমিতে গাঁজা চাষ শুরু হয়েছে। ওই গাঁজা শুকিয়ে সুচারু ভাবে প্যাকিং করে পাচার করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগঢ়, বিহার-সহ ওড়িশার পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এতে সেখানকার পুলিশ প্রশাসনেরও পরোক্ষ মদত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, কান্ধামাল ওড়িশার অন্যতম দরিদ্র জেলা ছিল। স্থানীয়দের বেশির ভাগই জঙ্গলে কাঠ কুড়িয়ে কিংবা ফল সংগ্রহ করে জীবন যাপন করতেন। গাঁজা চাষে তাঁরা আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পেয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, একরের পর একর জমিতে গাঁজা চাষের পর তা পাচারের উদ্দেশ্যে বিশেষ স্ল্যাব বানিয়ে বাজারজাত করা হয়। সেখানকার এসডিপিও রমেন্দ্র প্রসাদ জানিয়েছেন, ধারাবাহিক ভাবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে তাদের দল। গত মঙ্গলবারও সেখানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।