Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

নায়িকা এলেও খলনায়ক বৃষ্টি

যে দিন দেব এলেন ঠিক তার পর দিনই এলেন শুভশ্রী। পর-পর রানাঘাট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে তারকা সমাহার। বৃহস্পতিবার দেবের সফরের দিনেই এসেছিলেন আর এক তারকা সোহম।

তৃণমূলের প্রচারে শুভশ্রী। সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার তাহেরপুরে। ছবি: প্রণব দেবনাথ

তৃণমূলের প্রচারে শুভশ্রী। সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার তাহেরপুরে। ছবি: প্রণব দেবনাথ

সম্রাট চন্দ
তাহেরপুর শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৪২
Share: Save:

যে দিন দেব এলেন ঠিক তার পর দিনই এলেন শুভশ্রী। পর-পর রানাঘাট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে তারকা সমাহার। বৃহস্পতিবার দেবের সফরের দিনেই এসেছিলেন আর এক তারকা সোহম।
নেতাজি পার্ক থেকে তরুণ সংঘ পাঠাগার মাঠের দূরত্ব দেড়শো মিটারের মতো। নেতাজি পার্কে গত বুধবার এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে বিপুল জনসমাগম হয়। রাজনৈতিক মহলের খবর, ভিড়ের জবাবে কাছাকাছি পাল্টা সভা করে তৃণমূলের তরফে ভিড় দেখাতে মরিয়া ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। মূলত সেই কারণেই আনা হয়েছিল শুভশ্রীকে। কিন্তু সেই ইচ্ছায় বাদ সেধেছে প্রকৃতি।
শুক্রবারের জনসভায় শুভশ্রী ছাড়াও তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, বিদায়ী সাংসদ তাপস মণ্ডল, স্থানীয় বিধায়ক শঙ্কর সিংহ, রানাঘাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস ঘোষের মতো নেতা-নেত্রীরা ছিলেন। কিন্তু মাঠ ভরানো যায়নি।
শুভশ্রীর নাম শুনে ভিড় সবে হচ্ছিল। কিন্তু অভিনেত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী মঞ্চে ওঠার আগেই শুরু হয় দুর্যোগ। ঝড়-বৃষ্টি কিছুটা থামার পরে বৃষ্টির মধ্যেই সভা চলতে থাকে। মাঠ অবশ্য তত ক্ষণে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। শুভশ্রী এ দিন বক্তৃতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন এবং রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী রূপালী বিশ্বাসকে জয়ী করার আহ্বান জানান। বৃষ্টির মধ্যে আড়াই মিনিটের মতো বক্তৃতা দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাহেরপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি সাধন সরকার অবশ্য দাবি করেন, “যে সময়ে মানুষ জমায়েত হচ্ছিলেন তখনই প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হয়। তবুও দুর্যোগ উপেক্ষা করে অনেকে ছিলেন।”
কয়েক দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘স্টিকার দিদি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এ দিন সেই প্রসঙ্গে পার্থবাবু বলেন, “তিনি প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে তো অসম্মান করা যায় না। কিন্তু তিনি কিছু জানেন বলে আমাদের মনে হয় না। আমরা স্টিকার বা স্পিড ব্রেকারে বিশ্বাসী নই।”
সম্প্রতি মন্ত্রী রত্না ঘোষ এবং বিজেপি নেতা মহাদেব সরকারকে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগে শো কজ করেছে। এ বিষয়ে পার্থবাবু বলেন, “মহাদেব সরকার কু-কথা বললেন। নির্বাচন কমিশন তাঁর গালে থাপ্পড় দিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE