রাজিবুর রহমান।
জিতারপুর হাইস্কুলের ছাত্র রাজিবুর রহমান এখন গোটা হরিহরপাড়া ব্লকের গর্ব। গরিব পরিবারের ওই ছাত্রটি এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় সাতটি বিষয়েই লেটার পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৫। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে যে সাফল্য অর্জন করেছে তা নিয়েই গর্বের শেষ নেই হরিহরপাড়ারবাসীর। হরিহরপাড়ার রাইপুর পঞ্চায়েতের মামদালিপুর গ্রামের রাজিবুর বাড়ি থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে জিতারপুর হাইস্কুল যাতায়াত করত পায়ে হেঁটে। কখনও বন্ধুদের সাইকেলের পিছনে চড়ে। শেষ পর্যন্ত গত জানুয়ারিতে সবুজসাথী প্রকল্পে একটি সাইকেল মিলেছে ঠিকই কিন্তু খিদে পেটে সাইকেল চালিয়ে স্কুল যাতায়াত করাও তো কষ্টের! রাজিবুরের কথায়, ‘‘বাবা ভাগচাষি। পরের জমিতে চাষ করেন। পড়াশোনার ফাঁকে আমিও চাষের কাজে বাবাকে সাহায্য করি।’’ তাই দিনে পড়াশোনা করার সময় পেতাম না। রাত জেগে পড়তাম।’’
দু’জন গৃহশিক্ষক ছিল ইংরেজি ও অঙ্কের জন্য। কিন্তু তার জন্য ওই দু’জন শিক্ষক তার কাছ থেকে কোনও অর্থ নিতেন না। রাজিবুর জানায়, বাকি সমস্ত বিষয়ে স্কুলের শিক্ষকরা দারুণ ভাবে সাহায্য করেছেন। বইপত্র থেকে খাতা-পেনও কিনে দিয়েছেন। অনেক সময়ে বাড়ি থেকে খাতা-পেন কিনে দিত পারত না। শিক্ষকদের কানে যেতেই তাঁরা খাতা-পেন কিনে দিয়েছেন।’’ পাশ করে গিয়েছে এমন উঁচু ক্লাসের দাদাদের কাছ থেকে সহায়িকা চেয়ে নিয়ে পড়াশোনা করেছে সে।ধরাবাঁধা নিয়মের মধ্যে পড়াশোনা না করেও মাধ্যমিকে ৯৫% নম্বর পেয়েছে রাজিবুর। বড় হয়ে সে ডাক্তার হতে চায়।তবে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে খরচ হবে অনেক বেশি। তাই সরকারি সাহায্য না পেলে কত দূর লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারবেন তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে ভাগচাষি বাবা তাহাজুদ্দিন শেখের।
রাজিবুর রহমানের ফোন নম্বর: ৯৫৯৩৪১৬৮৯০।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy