Advertisement
১১ মে ২০২৪
Mahua Moitra

‘তোলাবাজি’তে বন্ধ রাস্তা সংস্কার! ভিডিয়োবার্তায় কড়া ধমক দিলেন সাংসদ মহুয়া

দলের একাংশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সাংসদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাস্তা সংস্কারের কাজে বাধা দেওয়া হলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করবে। মহুয়ার ভিডিয়োবার্তার ২৪ ঘণ্টা না পার হতেই ফের রাস্তার কাজ শুরু করল ঠিকাদার সংস্থা।

ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
করিমপুর শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৩ ২৩:২২
Share: Save:

২টি রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার ২ দিনের মধ্যেই তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বিভিন্ন অজুহাতে ঠিকাদার সংস্থার উপরে চাপ তৈরি করে মোটা অঙ্কের ‘তোলা’ দাবি করছিলেন। তাই বাধ্য মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার সংস্থা। এই খবর পেয়েই সমাজমাধ্যমে কড়া বার্তা দিলেন মহুয়া মৈত্র। দলের একাংশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সাংসদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাস্তা সংস্কারের কাজে বাধা দেওয়া হলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করবে। মহুয়ার ভিডিয়োবার্তার ২৪ ঘণ্টা না পার হতেই ফের রাস্তার কাজ শুরু করল ঠিকাদার সংস্থা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী করিমপুর ১ ব্লকের অধীন জামশেদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২টি ভিন্ন সরকারি প্রকল্পে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। প্রথম রাস্তাটি দুর্গাপুর ও দ্বিতীয় রাস্তাটি কুচাইডাঙা গ্রামে। কাজ শুরু হওয়ার দিন কয়েকের মধ্যেই তা বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার সংস্থা। পর্যাপ্ত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করছে না তারা, এই অভিযোগ তুলে রাস্তা সংস্কারের কাজ আটকে দেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। ঠিকাদারি সংস্থার পক্ষ থেকে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে পাল্টা তোলাবাজির অভিযোগ করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠিকাদারি সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক বলেন, ‘‘শাসকদলের কয়েক জন নেতা এসে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমরা দেব না বলায় নানা অজুহাতে কাজ আটকে দেয়।’’

রাস্তা তৈরির কাজ আটকে যাওয়ার খবর পৌঁছয় মহুয়ার কাছে। তড়িঘড়ি তিনি একটি ভিডিয়োবার্তা আপলোড করেন নিজের ফেসবুক পেজে। সাংসদ ভিডিয়োবার্তায় বলেন, ‘‘কেউ রাস্তার কাজ আটকানোর চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ পদক্ষেপ করবে। রাস্তা নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে বিডিওকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। বিশেষজ্ঞ ছাড়া নিজেদের মতো করে রাস্তার কাজ আটকানো যাবে না। এর পরেও ঠিকাদারি সংস্থার কাজ আটকে দিলে পুলিশ তুলে নিয়ে আসবে।’’ ভিডিয়োবার্তার পর ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই বৃহস্পতিবার আবার কাজ শুরু করল ঠিকাদারি সংস্থা।

এ নিয়ে শাসক তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘তৃণমূল যে তোলাবাজি করে, সেটা সাংসদ স্বীকার করে নিলেন। তবে মহুয়াদি যে ভাবে বললেন, তাতে এর পরে ঠিকাদার সংস্থা ফাঁকি দিলেও আর কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাবে না। লুটেপুটে খাওয়ার রাস্তাটা আরও পরিষ্কার হল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mahua Moitra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE